সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদারো থেকে পাওয়া গিয়েছিল বহু প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী, যার মধ্যে একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি নজর কেড়েছিল সকলের। প্রায় ৪৫০০ বছরের পুরনো এই নারী মূর্তিটি ১০.৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের। যার এক হাত কোমরে, অন্য হাতে কিছু একটা ধরা, মূর্তিটি সম্পূর্ণ বিবস্ত্র।
এছাড়া মূর্তির এক হাতে, কাঁধ অবধি চুড়ি, অন্য হাতে মাত্র চারটি চুড়ি। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও, মূর্তির নাম দেওয়া হয় ‘ডান্সিং গার্ল’। বর্তমানে পার্বতীর এই মূর্তি নিয়ে বেশ সোরগোল চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। কারণ, প্রতিবেশী দেশ ফেরত চায় ‘তাদের’ ডান্সিং গার্ল।।
ডান্সিং গার্ল পাওয়া গিয়েছিল ১৯২৬ সালে। দীর্ঘ ৯০ বছর পরে অবশ্য জানা গেল যে মূর্তিটি আসেল দেবী পার্বতীর। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টরিকাল রিসার্চ’-এর প্রকাশিত ‘ইতিহাস’ জার্নালে এই তথ্য রয়েছে। ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, ঠাকুর প্রসাদ বর্মা, তার গবেষণায় যে তথ্য তুলে ধরেছেন, তা থেকে সকলেই স্বীকার করে নেবেন যে ওই মূর্তিটি শিব-ঘরণীরই।
অধ্যাপকের বরাত দিয়ে খবরে আরও বলা হয়, মহেঞ্জোদারো থেকে পাওয়া নানা প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় যে, সেই সময়ে শিবের উপাসনা করা হতো। ‘সিল ৪২০’তে যে মূর্তি দেখা যায়, সেটাও শিবের। এবং যেখানে শিব থাকবেন, সেখানে পার্বতী থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/মাহবুব