ভারতের ঝাড়খন্ডের রামগড়ে রক্ষীবিহনী লেভেল ক্রসিংয়ে রেলগাড়ি ও বোলেরো গাড়ির সংঘর্ষে নিহত হলেন ১৩ জন। এর মধ্যে ৫ জন শিশুও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর গতকাল সোমবার রাতে সাড়ে নয়টা নাগাদ ভুরকুন্ডা স্টেশনের কাছে এই রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, রহরাপ্পা মন্দির থেকে একটি বোলেরো গাড়িতে করে একটি পরিবারের স্বজনরা ফিরছিলেন। রেভেল ক্রসিংটি পার হওয়ার সময়ই গাড়ির চাকা আটকে যায় রেললাইনের সঙ্গে। সেসময় গাড়ি থেকে যাত্রীরা নামার চেষ্টা করলেও কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ওই রেললাইনে চলে আসে দ্রুতগামী হাওড়া-ভোপাল এক্সপ্রেস। ট্রেনের ধাক্কায় বোলেরো গাড়িটি ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে হয়ে যায়, নিহত হয় ওই গাড়িটির সব যাত্রীরাই। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ওই গাড়িটিকে প্রায় ১০০ মিটার দূর পর্যন্ত টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় এক্সপ্রেস ট্রেনটি। শেষ পর্যন্ত গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়িটি থেকে লাশগুলিকে বাইরে আনা হয়। দুর্ঘটনার পর প্রায় তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটিকে থামানো হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রেলের কর্মকর্তারা। চলছে উদ্ধারকাজ। দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ মানুষেরা রেললাইন অবরোধ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা