স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি অসুখ। মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ এটি। স্ট্রোক দু ধরনের।
১. ইসকেমিক স্ট্রোক
২. হেমোরেজিক স্ট্রোক
ইসকেমিক স্ট্রোক- মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাধলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট হয়ে যায়। শুরুতে কোষগুলো রক্ত চলাচল কমে গেলেও বেঁচে থাকতে পারে। একটা নিদিষ্ট সময় পর কোষগুলো মারা যায়। একে বলে কোর। কোরের চার পাশে মস্তিষ্কের বেশকিছু অংশেও রক্ত কমে যায়। একে বলে প্যানামব্রা। যদি প্যানামব্রা অংশে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা যায় তাহলে স্ট্রোকের ভয়াবহতা অনেকটা কমানো যায়।
অনেকে মনে করেন স্ট্রোকের কোনো চিকিৎসা নেই। স্ট্রোক হলে পঙ্গুত্বই নিয়তি। এটা মেনে নেন সবাই। কিন্তু স্ট্রোক এখন বিনা চিকিৎসার রোগ নয়। স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা আছে। স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা বিশ্বব্যাপী হচ্ছে।
স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাক হলে আমরা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেই। হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে রক্ত জমে গেলে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে হৃদপিণ্ডের মাংসপেশি নষ্ট হয়ে যায়। একেই বলে হার্ট অ্যাটাক। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসক হার্টের রক্তনালীতে জমাটবাধা রক্ত গলিয়ে ফেলতে এক ধরনের ওষুধ শিরাপথে দিয়ে থাকেন। একে বলে স্ট্রেপ্টোটোকাইনেজ।
একই রকমভাবে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধলে জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে ফেলতে এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। মস্তিষ্কের স্ট্রোকে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তাকে বলে এল্টিপ্লেজ।
কীভাবে কাজ করে
রক্তলানীতে রক্ত জমাট বাঁধার কিছু ধাপ আছে। রক্তনালীতে চর্বি জমা হয়ে তা সংকুচিত হয়ে যায়। চর্বি জমা অংশে রক্তনালীর ভেতরে ফেটে যায়। এ কারণে রক্তনালীর কোষ যাকে এন্ডোথেলিয়াম বলে তা বের হয়ে আসে। ক্ষত হওয়া এন্ডোথেলিয়ামে রক্তের কণিকা প্লাটিলেট জমা হয়। প্লাটিলেট কিছু কেমিকেল নিঃসরণ করে। পরবর্তীতে ফিব্রিনোজেন নামক প্রোটিন। এটি নিস্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিছু রিয়েকশনের মাধ্যমে তা ফিব্রিনে পরিবর্তিত হয়। এটি জালিকা তৈরি করে। এ জালিকায় রক্তের কোষগুলো জমাট বাঁধে। একে বলে থ্রোম্বাস। ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এল্টিপ্লেজকে বলা হয় এন্টিথ্রম্বোলাইটিক। এর আর একটি নাম হলো টিস্যু প্লাজমিনোজেন একটিভেটর। রক্তে আরেকটি পদার্থ থাকে, যার নাম প্লাজমিনোজেন। এটি নিস্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। প্লাজমিনোজেন সক্রিয় হয়ে প্লাজমিনে পরিণত হয়। প্লাজমিন কাঁচির মতো কাজ করে। এটি ফিব্রিনকে ভেঙে ফেলে। ফলে ফিব্রিনের জালিকা আর থাকে না। জালিকা না থাকায় রক্তকণিকাগুলো জমাট হয়ে থ্রোম্বাস করতে পারে না। মানে বন্ধ হওয়া রক্তনালী খুলে যায়। তো এল্টিপ্লেজের কাজটা কী? এল্টিপ্লেজ প্লাজমিনোজেনকে প্লাজমিনে পরিবর্তন করে ফিব্রিন জালিকা ভেঙে দেয়।
কাদের আধুনিক চিকিৎসা করা যায়
অনেকে প্রশ্ন করেন সব স্ট্রোক করা রোগীকে কি আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া যায়? আমরা বলি যাদের মাথায় রক্তক্ষরণ হয় তাদের তো এল্টিপ্লেজ ইনজেকশন দেওয়া যায় না। আর যাদের রক্তনালী রক্ত জমে বন্ধ হয়ে যায় যাকে ইস্কেমিক স্ট্রোক বলে। তাদের দেওয়া যায়। আবার সব ইস্কেমিক স্ট্রোক রোগীকে এ চিকিৎসা দেওয়া যায় না। তো কাদের দেওয়া যায়? উত্তরে আমরা বলি-
১. যাদের ইস্কেমিক স্ট্রোক হয় এবং উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে যদি হাসপাতালে আসেন তাহলে দেওয়া যায়।
২. অনেকের ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক হয়। তাদের তো সময় মাপা সম্ভব হয় না। তাদের ক্ষেত্রে এমআরআই পরীক্ষা করে দেখতে হয় এ চিকিৎসা দেওয়া যাবে কি না। যদি এমআরআই পরীক্ষা সন্তোষজনক হয় তাহলে এ চিকিৎসা দেওয়া যায়।
৩. বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
কাদের ক্ষেত্রে এ চিকিৎসা করা যায় না
১. উচ্চ রক্তচাপ ১৮৫/১১০ মিলিমিটার মার্কারির বেশি হলে। তবে রক্তচাপ কমানোর ওষুধ প্রয়োগ করে রক্তচাপ এ মাত্রার নিচে নামিয়ে আনতে পারলে আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া যায়।
২. রক্তের রোগ থাকলে।
৩. মাথায় গত ৩ মাসের মধ্যে আঘাত পেলে।
৪. গত ৩ মাসের মধ্যে ইস্কেমিক স্ট্রোক হলে।
৫. ৩ মাসের মধ্যে মস্তিকে বা স্পাইনাল ক্যানেলে অপারেশন হলে।
৬. মস্তিষ্কের ক্যান্সার হলে।
৭. পূর্ববর্তী যেকোনো সময়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে।
৮. খাদ্যনালীতে ক্যান্সার বা গত ২১ দিনের মধ্যে রক্তক্ষরণ হলে।
৯. শরীরের যেকোনো অংশে রক্তক্ষরণ হতে থাকলে।
১০. ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে ওষুধ যেমন হেপারিন বা লো-মলিকুলার ওয়েট হেপারিন নিলে।
১১. প্লাটিলেটের সংখ্যা ১ লাখের কম হলে।
১২. সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে
১৩. সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কের এক-তৃতীয়াংশের বেশি অংশে রক্ত চলাচলে কমে স্ট্রোক হলে।
সেসব কারণ থাকলে আইভি থ্রোম্বোলাইসিস করা সম্ভব হয় না, তা যদি আপনার রোগীর থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাবেন।
কীভাবে শরীরে দেওয়া হয়
স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া বেশ সহজ। স্ট্রোকের সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে যেসব হাসপাতালে এ চিকিৎসা করার ব্যবস্থা আছে সেসব হাসপাতালে আসতে হবে। একজন নিউরোলজিস্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর আইভি থ্রোম্বলাইসিসের সিদ্ধান্ত দেবেন। আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা হয় শিরাপথে। ওষুধের প্যাকেটে দুটো বোতল থাকে। এর একটিতে এল্টিপ্লেজ ও অন্যটিতে মিশ্রণ তৈরি করার জন্য তরল পদার্থ থাকে। দুটো বোতলের মধ্যে সংমিশ্রণ করার জন্য একটি নিডল বা সুচ থাকে। এ সুচটি প্রথমে এল্টিপ্লেজ রাখা বোতলে প্রবেশ করাতে হয়। এরপর সুচের অপরপ্রান্ত মিশ্রণ তৈরি করার তরলের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। তরল রাখা বোতলটি এল্টিপ্লেজ রাখা বোতলের ওপর উল্টে রাখা হয়। ফলে তরল নিডলের ছিদ্র দিয়ে এল্টিপ্লেজ বোতলের মধ্যে চলে আসে। এবার বোতলটি ঝাকিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়।
মিশ্রণ তৈরি সম্পন্ন হলে ওষুধ শিরাপথে প্রবেশ করা হয়। এটি করা হয় ২ ভাগে। আক্রান্ত ব্যক্তির ওজনকে ০.৯ দিয়ে গুণ করলে যে পরিমাণ হয় সে পরিমাণ (মিলিগ্রাম) ওষুধ শিরাপথে একবারে দিয়ে দিতে হয়। বাকি ওষুধ ১ ঘণ্টা ধরে দিতে হয়।
কতটা কার্যকর
১৯৯৬ সালে এফডিএ স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা হিসেবে অনুমোদন দেয়। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকের চিকিৎসা হিসেবে আইভি থ্রোম্বলাইসিস ব্যবহার করা হচ্ছে। আধুনিক এ চিকিৎসার ফলাফল কিন্তু বেশ আশাব্যঞ্জক। গবেষণায় দেখা গেছে, এ চিকিৎসা পাওয়া রোগীদের ৭০ শতাংশের উন্নতি হয়। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা হয়েছে তিন মাস পর তাদের ৫০ শতাংশ ব্যক্তি নিজের কাজ নিজেই করতে পারেন, ১৫ শতাংশ অন্যের কিছু সাহায্য দরকার হয়, ১৫ শতাংশ অন্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হন ও ২০ শতাংশ মারা যান।
কাজেই প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। এ সংখ্যা কিন্তু অনেক বেশি। স্ট্রোকের চিকিৎসা নেই তা কিন্তু আর ঠিক নয়। স্ট্রোক হলেই যে অন্যের ওপর বোঝা হবেন তাও ঠিক না।
জটিলতা কী
যে কোনো চিকিৎসায় কিছু জটিলতা থাকে। তা মেনে নিয়েই চিকিৎসা করতে হয়। আইভি থ্রোম্বলাইসিস চিকিৎসাও কিছু জটিলতা হতে পারে তবে তা বেশ কম। জটিলতার মধ্যে বেশি মারাত্মক হলো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ। আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা রোগীর যদি মাথাব্যথা বেড়ে যায়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, অজ্ঞান হয়ে যায়, এক পাশে দুর্বলতা বেড়ে যায় তাহলে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে ধরণা করা হয়। এমনটি হলে ওষুধ বন্ধ করে দ্রুত সিটিস্ক্যান করাতে হয়। রক্তক্ষরণ হলে চিকিৎসক সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। সাধারণত ২-৬% রোগীর রক্তক্ষরণ হতে পারে।
এছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এল্টিপ্লেজ ওষুধ হাইপারসেনসিটিভিটি থেকে হতে পারে এনজিএডিমা। এতে ঠোঁট, মুখ ফুলে যেতে পারে। ১.৫-২.৫ শতাংশ রোগীর এ সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসায় এটি ভালো হয়। জটিলতা কিছু থাকলেও আইভি থ্রোম্বলাইসিসের উপকারিতার জটিলতার চেয়ে অনেক বেশি।
খরচ কেমন
স্ট্রোকের অত্যাধুনিক চিকিৎসার খরচ কিন্তু খুব বেশি না। যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা ৫০ হাজার টাকা মাত্র। সরকারি হাসপাতালে এর বাইরে খরচ বেশি নেই। বেসরকারি হাসপাতাল হলে কিছু খরচ বাড়বে।
আমাদের দেশে কি সম্ভব
১৯৯৬ সালে আমেরিকার এফডিএ আইভি থ্রোম্বলাইসিসের জন্য এল্টিপ্লেজকে অনুমোদন দেয়। স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে তারা খুব তৎপর। আইভি থ্রোম্বলাইসিস করার জন্য রোগীকে হাসপাতালে আসার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। উন্নতদেশগুলোতে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স আছে। এসব অ্যাম্বুলেন্সে সিটিস্ক্যান করার ব্যবস্থা আছে। কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স রোগীর বাসায় চলে যায়। অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে সিটিস্ক্যান করে যদি দেখা যায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়নি এবং ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন তাহলে অ্যাম্বুলেন্সেই আইভি থ্রোম্বলাইসিস করার জন্য এল্টিপ্লেজ ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন চলা অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এত সুবিধার পরও ইস্কেমিক স্ট্রোকের মাত্র ২-৫% রোগীকে অত্যাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়।
আমাদের দেশের জন্য খুব আনন্দের খবর হলো আমাদের দেশেও কিন্তু অত্যাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। গত ৩-৪ বছর থেকে দেশেই এ চিকিৎসা হচ্ছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস), আগারগাঁও, ঢাকায় নিয়মিতভাবে আইভি থ্রোম্বলাইসিস হচ্ছে। এখানে শুধু স্ট্রোক রোগীদের জন্য ১০০ বেডের আলাদা ইউনিট আছে। এটি এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম। এখানে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ রোগীর আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা হয়েছে। স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। তারপরও আমাদের জন্য এ সংখ্যা অনেক বেশিই। সিএমএইচ, বিএসএমএমইউতে কিছু আইভি থ্রোম্বলাইসিস হয়েছে। ঢাকার বাইরে সিলেটের বেসরকারি হাসপাতালে এ চিকিৎসা হচ্ছে।
জনপ্রিয় করার উপায় কী
দেশে স্ট্রোকের অত্যাধুনিক চিকিৎসা অল্প পরিমাণে হলেও হচ্ছে। কিন্তু আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আইভি থ্রোম্বলাইসিসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়। সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে না এলে এ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের দেশে যানজট ভয়াবহ। যানজটের কারণে রোগীরা সঠিক সময়ে আসতে পারেন না। এজন্য আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা যায় এমন হাসপাতালের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এলাকাভিত্তিক করলে সুবিধা। এ চিকিৎসা শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক না করে অন্তত বিভাগীয় শহরগুলোতে চালু করার ব্যবস্থা করা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইভি থ্রোম্বলাইসিস করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
স্ট্রোক নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এখনোও আমাদের বেশিরভাগ লোকই মনে করেন স্ট্রোক হার্টের রোগ। ফলে স্ট্রোকে আক্রান্তদের হার্টের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে নিয়ে যান। স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ। স্ট্রোক করলে মস্তিষ্কের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে দ্রুত নিতে হবে। অকারণে সময় নষ্ট করা যাবে না।
লেখক : ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু, সহকারী অধ্যাপক, ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ