ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ভাটারা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় মতিউর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। এদিকে, মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর সহকারী পরিচালক মো. ইসমাঈল। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৯ জানুয়ারি তাঁর রিমান্ড শুনানির কথা রয়েছে। গত বছর ঈদুল আজহার আগে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এনবিআরের এ কর্মকর্তার সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে মতিউরকে এনবিআরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাদ পড়েন সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ থেকেও। এরপর ৩১ জুলাই মতিউর রহমানের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে স্বেচ্ছা অবসরে পাঠানো হয় বলে প্রজ্ঞাপন জারি করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)।
এদিকে, দুদকের নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট দুই স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন মতিউর। সবশেষ চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মতিউর, লায়লা কানিজ, তাঁদের মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতা এবং অর্ণবের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে দুদক। এর আগে ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে মোট চারবার মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে দুদক।