সিনেমা হলে ঝড় তুলেছে আমির খানের ‘দঙ্গল’। প্রশংসিত হয় সর্বত্র। কিন্তু এবার মহাবীর সিং ফোগাতের বায়োপিক বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। আমিরদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে পারেন ভারতের সাবেক কুস্তিগীর কোচ পিআর সোন্ধি। ছবিতে তাকে নেগেটিভ শেডে দেখানো হয়েছে বলেই বেজায় চটেছেন তিনি।
পিআর সোন্ধি বলছেন, ‘দেখুন মহাবীর ফোগাত অত্যন্ত ভদ্রলোক। আমি নিশ্চিত ও কখনই ছবির নির্মাতাদের বাড়িয়ে কিছু বলবে না আমার ব্যাপারে। ছবিটা আমি এখনও দেখিনি। আমার ছাত্ররা দেখে এসে আমাকে গল্প শুনিয়েছে। গীতা-ববিতাদের ট্রেনিং শুধু আমিই দেয়নি। আরও পাঁচ জাতীয় কোচ ছিলেন দলে। জর্জিয়া থেকে বিদেশি কোচও ছিলেন। তাহলে আমাকেই কেন ছবিতে দেখানো হবে? ছবিটাকে মশলাদার করার জন্যই তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। আমাকে অসম্মান করা হয়েছে। ছবিটা এবার আমি দেখব। তারপর ভেবে দেখব কোনও আইনী পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি না!’’
এই ছবিতে দেখানো হয়েছে যে, গীতার ফাইনাল বাউটের আগে কোচ প্রমোদ কদম একটা ঘরের মধ্যে আমির খানকে বন্ধ করে রাখেন। যাতে তিনি গীতার সঙ্গে দেখা করতে না-পারেন। ছবি গীতার বাবা মহাবীরের চরিত্রেই আমির। অন্যদিকে সোন্ধির চরিত্রায়নে প্রমোদ। এই বিষয়ে তিনি বলছেন, ‘‘শেষ দু’দশক ধরে আমি জাতীয় দলে ও রেস্টলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত। আমি এই ছবির আগে লুধিয়ানাতে আমিরের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। ও একবারও আমার সঙ্গে ছবির শেষটা নিয়ে আলোচনা করেনি।ও যখন আমার থেকে ইনপুট নিল, তাহলে কেন বানানো গল্প দেখাল? টুর্নামেন্ট চলাকালীন মহাবীর কখনই কোচেদের কাজে বাঁধা দেয়নি।’’
সোন্ধি রেস্টলিং ফেডারেশনকে তার পাশেই পেয়েছেন। সংগঠনের এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘‘সোন্ধি অন্যন্ত সম্মানীয় কোচ। ও চরিত্রের ভুল ব্যাখা কখনই মানা যায় না। কমনওয়েলথের সময় যদি সত্যিই এরকম কিছু ঘটে থাকত, তাহলে কেন এতদিন কেউ কোনও রিপোর্ট করল না। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’