নেপালের শো কেমন হলো?
নেপাল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সেখানে শো করতেও এবার ভালো লেগেছে। আমরা এক দিন সারা নেপাল ঘুরে বেড়িয়েছি।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
আমি আমার চতুর্থ একক অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। এরই মধ্যে বাপ্পা মজুমদারের সুর ও সংগীতে একটি গানের কাজ শেষ করেছি। ফুয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে একটি গান করার কথা আছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম করব কি না এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। কারণ শ্রোতারা এখন একটি অ্যালবামের সব গান শুনে না। যার যেটা ভালো লাগে সে সেটা ডাউনলোড করে শুনে। এ ছাড়া বেলাল খানের সঙ্গে একটি মিক্স অ্যালবামে কাজ করেছি। পহেলা বৈশাখে অ্যালবামটি প্রকাশ হবে।
স্টেজ শো কেমন চলছে?
দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্টেজ শোগুলো করতে ভয় হচ্ছে। এই সময়টা আমাদের শিল্পীদের স্টেজ শো করার সময়। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আয়োজকরা কনসার্টের আয়োজন করতে চাইছেন না। আর শো থাকলেও বাইরে যেতেই ভয় করছে আমাদের।
চলচ্চিত্রে গানের কী অবস্থা?
চলচ্চিত্রে আমার অনেক গান করা হয়। কিন্তু এবার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কাজের পরিমাণ কমে গেছে। সম্প্রতি শওকত আলী ইমন ও ইমন সাহার সংগীতায়োজনে দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি।
বর্তমান সময়ে প্রায় অধিকাংশ বিজ্ঞাপনের ভয়েজ মনে হয় আপনার।
আমি কণ্ঠের ফেরিওয়ালা। যেখানে আমার কণ্ঠ দেওয়ার প্রয়োজন আমি সেখানেই দিই। বর্তমানে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত অধিকাংশ বিজ্ঞাপনে আমার ভয়েজ।
একটু পেছনে ফিরে যাওয়া যাক। গানের জগতে আসার গল্পটি বলবেন?
ছোটবেলা থেকেই আমি দেখেছি আমার পরিবারে সংগীতচর্চার পরিবেশ। আমার বড় বোনকে গান শেখানোর জন্য বাসায় গানের ওস্তাদ রাখা হয়েছিল। ওস্তাদজী তাকে প্রতিদিন গান শেখাতে আসতেন। আর আমি গভীর ধ্যানে বড় বোনের গান শেখানোর বিষয়টি লক্ষ্য করতাম। যখন একা একা থাকতাম, তখন ওই গানগুলো গুনগুনিয়ে গাইতাম। গানের প্রতি আমার এই দুর্বার আকর্ষণ আমার বাবা-মার চোখে ধরা পড়ে। তখনই বাবা-মার সিদ্ধান্তে আমি গান শেখা শুরু করি। তাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান শেখার জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে ভর্তি হই। তখন আমি সবেমাত্র ক্লাস ওয়ানের ছাত্রী। পাঁচ-ছয় বছর বয়স থেকেই আমি পুরোদস্তুর শিল্পীর মতো হারমোনিয়াম এবং তবলা বাজিয়ে গান গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এমনি করেই কখন যেন সংগীতাঙ্গনে চলে আসি।
* আলী আফতাব