ঢাকার ছবিতে মৌলিক গল্প নেই। বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ৯৮ শতাংশ ছবির গল্প হয় নকল। আর এই গল্পগুলোর সিংহভাগ লিখেন আবদুল্লাহ জহির বাবু। তাকে চলচ্চিত্রপাড়ার মানুষ 'নকলবাজ' হিসেবেই ডাকে। নকলের বিষয়টি বাবু নিজেও স্বীকার করেন। নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি একাধিকবার নিজেকে নকল চিত্রনাট্যকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাবু ফেসবুকে জানিয়েছেন, প্রযোজক-পরিচালকের কারণেই তিনি নকল করছেন। কারণ সংসার চালাতে তার অর্থ প্রয়োজন। কিন্তু বাবুর এ কথায় হেসেছেন সবাই। অনেকে বলেন, বাবু প্রভাব খাটিয়ে এবং প্রযোজকদের প্রলোভন দেখিয়ে চলচ্চিত্রের সিংগভাগ পাণ্ডুলিপি রচনা করেন। মাসে ৮ থেকে ১০টি পাণ্ডুলিপি লিখেন শুধু পেটের দায়ে নয়, অর্থের পাহাড় বানাতে। আর এত পাণ্ডুলিপি নকল ছাড়া লেখা সম্ভব নয়। এফডিসি পাড়ায় কথার প্রচলনই আছে_ 'যদি নকল ছবি চাও তবে বাবুর কাছে যাও'। বাবুর নকলবাজির কারণে তিনি মৌলিক পাণ্ডুলিপি লিখতে পারেন কিনা তা নিয়েই সংশয় আছে সবার। তবে নকল করেও বড়গলায় তা বলা এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারও মাথাব্যথা না থাকায় ক্ষুব্ধ শুদ্ধ চলচ্চিত্রকাররা। চলচ্চিত্রকারদের কথায়, বাবুর মতো নকলবাজদের কারনেই নব্বই দশকের শেষভাগ থেকে ঢাকার চলচ্চিত্র চরম অবক্ষয়ের কবলে পড়ে। মৌলিকত্ব হারায় ঢালিউড। এই অনৈতিকতার কারণে দেশীয় চিত্রজগতের মুখে কলঙ্কের কালিমা লেপন করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাচ্ছে না। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তের দর্শক এখন ঢাকার চলচ্চিত্রের নাম শুনলে নাক সিটকায় শুধুই বাবুদের নকলবাজির কারণে।