মেঘে মেঘে বেলা গড়াল, ভালোবাসার প্রান্তর ঝাঁপিয়ে নামল ঝুম বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিস্নাত হয়ে দুই হাতে মেঘ সরাল আমাদের মেঘবালিকা নীহা। শুরু থেকে সফলতার দেবী তাকে বর দিয়ে যাচ্ছেন। তাই তো সাম্প্রতিক সময়ে পরপর ‘মন দুয়ারী’ আর ‘মেঘবালিকা’ তার আঁচলে সাফল্যের বার্তা হয়ে জড়িয়ে গেল। সময়কে কখনো নিজের করে বেঁধে রাখতে চাননি মডেল অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নীহা। মডেলিং ও অভিনয় দিয়ে খুব অল্পসময়ে দর্শক-ভক্তের মন জয় করেছেন তিনি। তাঁর অভিনীত বেশির ভাগ নাটকই কোটি ভিউ ছাড়িয়েছে। রংধনুর রং ছড়িয়ে এখন অপেক্ষা নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ছোটবেলা থেকে অভিনেত্রী হতে না চাইলেও শোবিজে এসেই অভিনয়ের প্রেমে মজেছেন। তিনি এখন অভিনয়কে করে নিয়েছেন আপন। নীহার কথায়- চলচ্চিত্র ও ওয়েব জগৎ থেকে ডাক আসছে। তবে এখনই সেদিকে পা বাড়াতে চান না নীহা। তিনি বলেন, ‘এখনো কোনো চলচ্চিত্রে যুক্ত হইনি। আমি আসলে প্রস্তুত হচ্ছি। চলচ্চিত্র তো একটা বড় প্ল্যাটফর্ম, এর জন্য সঠিক প্রস্তুতি নিয়েই আসতে চাই। আপাতত ছোট পর্দা নিয়েই খুশি।’ ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে নীহা বলেন, ‘আপাতত অভিনয় নিয়েই ভাবছি। দর্শকের পছন্দের অভিনেত্রী হতে চাই। দর্শক যেন আমাকে মনে রাখে। ২০ থেকে ৩০ বছর পরে কিংবা আমি বেঁচে না থাকলেও সবাই যেন মনে রাখেন, সেরকম কাজ করতে চাই। এর পাশাপাশি ব্যবসা করব, এই ইচ্ছাটা ছোটবেলা থেকেই।’ নীহা জানান, তাঁর এক ফুপাতো ভাই শোবিজে কাজ করেন। তাঁর পরামর্শে শখের বশে ফটোশুট দিয়ে ২০২০ সালে ক্যামেরার সামনে আসেন নীহা। ফটোশুটের কিছুদিন পরই শুরু হয় কভিড মহামারির লকডাউন। তাই পরে অনেক দিন আর কাজ করা হয়নি। লকডাউন শেষে আরও কিছু ফটোশুট করেন। কাজ করতে করতে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায়। নীহার কথায়- এখন এটাই আমার পেশা ও আবেগ। শুরুর দিকে পরিবার খুব একটা রাজি না থাকলেও এখন উৎসাহ দেয়। ২০২৩ সালে পবিত্র ঈদুল ফিতরে নাটক দিয়ে আমার অভিষেক। বেশি বেশি কাজ করতেও চাই না। আমি মনে করি, এখনো ভালো অভিনয় পারি না। এটা বুঝি, অনেকে চান আমি বেশি বেশি কাজ করি; এমনকি আমার দর্শকরাও। কিন্তু টানা কাজ করতে গিয়ে মানের সঙ্গে আপস করতে চাই না। একটি কাজ হাতে নিয়ে প্রস্তুত হয়ে, চরিত্রের মধ্যে ঢুকে তারপর শুটিংয়ে যেতে চাই। প্রতিটি কাজের আগে প্রস্তুতির জন্য বিরতি নিতে চাই। এভাবে আরও কাজ করে নিজেকে শিল্পী হিসেবে পোক্ত করতে চাই। তারপর কাজের পরিমাণ বাড়তে পারে। নীহার এখন একমাত্র প্রেম কাজের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে। মা-ই নীহার স্বপ্নের পৃথিবী। ক্যারিয়ারে যদি একটুও সফলতা ধরা দেয়, তার পুরোটাই এসেছে মায়ের অবদানে। তাঁর অনুপ্রেরণা না পেলে নীহাকে হয়তো সবাই অন্যরকমভাবে পেত বলে জানান এই অভিনেত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবার অন্য আট-দশটা পরিবারের মতো নয়। আমি অভিনয় করি, এটি শুরুর দিকে পরিবারের অনেকেই চাননি। বলা যায়, পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে অভিনয়ে নেমেছি। তবে আম্মুর সাপোর্ট পেয়েছি। তাঁর সহযোগিতা ছিল আমার চলার পথের পাথেয়। যখনই সবাই আমাকে একটু একটু করে চিনতে শুরু করে ও আশপাশের মানুষ প্রশংসা করে, তখন আম্মু আমার অভিনয়ে আসাকে মন থেকেই গ্রহণ করে নেন। তখন থেকে আরও তুমুল উৎসাহ নিয়ে কাজ করছি।’
শিরোনাম
- টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা
- আগামীর বাংলাদেশের জন্য নতুন গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন : ফরহাদ মজহার
- কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
- আবার ফিরছে ব্যাচেলর পয়েন্ট
- ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি
- শাস্তি পেলেন দিল্লির বোলিং কোচ
- বিধ্বংসী হেড যখন ‘ডট বাবা’
- বাবরকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তানি পেসার
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
- আইপিএলে পছন্দের ব্যাট দিয়ে খেলতে পারছেন না কেন ক্রিকেটাররা?
- বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল
- রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা
- আমি শুটিং শেষে কাঁপছিলাম; কেন বললেন দিয়া মির্জা?
- চুয়াডাঙ্গায় ভ্যানে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
- হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৪
- ৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন
- এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ
- আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে : পররাষ্ট্রসচিব
- সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও
কাজের প্রেমে মগ্ন নীহা
নীহার এখন একমাত্র প্রেম কাজের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে। মা-ই নীহার স্বপ্নের পৃথিবী। ক্যারিয়ারে যদি একটুও সফলতা ধরা দেয়, তার পুরোটাই এসেছে মায়ের অবদানে
আলাউদ্দীন মাজিদ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর