এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মৃত্যু সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরো দুই নারী ও এক পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আক্রান্ত হয়ে আরো ৮১ জন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। তিনি জানান, সোমবার সকাল আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। নতুন করে ৮১ জন সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
মারা যাওয়ার রোগীরা হলো বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠাতলী এলাকার বাসিন্দা গনেশ চন্দ্র বেপারী (৫৭) ও বামনা উপজেলার সফিপুর এলাকার বাসিন্দা বেগম (৪৫) এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা এলাকার বাসিন্দা দুলু বেগম (৪০)। তিনজন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগের দুইটি মেডিকেল কলেজ এবং জেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয় সাত হাজার ৬৭৭ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৩০১ জন রোগী। মঙ্গলবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩২৪ জন রোগী। মারা গেছেন ৫২ জন রোগী।
এর মধ্যে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৪১ জন রোগী। এছাড়া বরগুনা, ভোলা ও পিরোজপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছেন তিন জন করে। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে বরগুনার জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। এ জেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুই হাজার ১৪৭ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৬ জন। এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন।
বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৬১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৫৫ জন। এখনো চিকিৎসাধীন আছেন ৬৫ জন।
বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৫৮ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫২ জন।
পিরোজপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন ৯৯৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৬৪ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩১ জন।
ভোলায় আক্রান্ত হয়েছে ভর্তি হয়েছেন ৭৩২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭১০ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯ জন।
পটুয়াখালীর জেলার হাসপাতালে ভর্তি হন ৭১৯ জন। এর মধ্যে ৬৬৫ জন সুস্থ হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৩ জন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভতিয় হয় ৫৭২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৪৯ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ জন।
ঝালকাঠি জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয় ২৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন সুস্থ হয়েছেন ২২৪ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪ জন।
বিডি প্রতিদিন/এএ