ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেল সেকশনের চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী একটি মালবাহী কনটেইনার ট্রেন থেকে তেলচুরির ঘটনায় ট্রেনচালক ও পরিচালকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের একটি টিম তদন্তে নেমেছে।
স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথের আখাউড়া রেলজংশন এলাকার কোড্ডা নামক স্থানে মালবাহী কনটেইনার ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে নিয়মিত তেলচুরি হয়। ট্রেনচালক ও পরিচালকসহ ট্রেনে কর্মরত সবাই এই চুরির সাথে জড়িত। একটি চোরাই সিন্ডিকেট এখানে ট্রেন থামিয়ে ইঞ্জিন থেকে তেলচুরি চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
হাসিনা পতনের পর কিছুদিন তেলচুরি বন্ধ ছিল। পরে নাম বদলে পুনরায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে দেদারছে তেলচুরি শুরু হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিমউদ্দিন খন্দকার জানান, সোমবার রাত সোয়া ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেলচুরি প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী একটি কনটেইনার ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে চুরির সময় হাতে-নাতে ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রেনচালক মো. নাসিরউদ্দিন, সহকারী চালক আ. রাজ্জাক, ট্রেন পরিচালক মো. ওমর ফারুকসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের পারভেজ ওরফে জাফর (৩১), কাজী রতন (৪৫), মুরাদ মিয়া (২৮), ইসহাক মিয়া (৩০) ও শামীম মিয়া (৪৭) নামে ৮ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমান জানান, আসামি গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। ট্রেনচালক ও পরিচালকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি দেওয়া হয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য। তেলচুরির ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী কমান্ড্যান্ট আরএনবি মো. ফিরোজ আলীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন হয়েছে।
আখাউড়া লোকোসেড ইনচার্জ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনার সাথে তাদের অফিসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জড়িতরা ঢাকা ও চট্টগ্রামে কর্মরত।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আলী জানান, বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার তারা তদন্তে নেমেছেন। ট্রেনে কর্মরত চালক ও পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল