সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যুদের হাতে অপহৃত ৬ নারীসহ ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় জেলেদের ব্যবহৃত ১৬টি নৌকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাওয়া কয়রা এলাকায় জেলেদের জিম্মি করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। এমন খবর জানতে পেরে কোস্টগার্ড বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ৩৩জনকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত এসব জেলেদের বাড়ি খুলনার কয়ার এলাকায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবার সকালে খুলনার কয়রা এলাকা থেকে সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাওয়া জেলেদের জিম্মি করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা।
বনদস্যুরা জনপ্রতি জেলেদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে খবর পেয়ে বুধবার বিকালে সুন্দরবনে অভিযানে নামে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা। সন্ধ্যায় সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় অনেকগুলো নৌকা দেখতে পায় কোস্টগার্ড।
এ সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে সুন্দরবনের গহীন বনে পালিয়ে যায়। পরে বনদস্যুদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ৬ নারীসহ অপহৃত ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করার পাশাপাশি জেলেদের ব্যবহৃত ১৬টি নৌকাও উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ী খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। জেলেদের নৌকাসহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ