ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দাদা দেলোয়ার মোল্লার (৫৫) বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর শিশুটিকে চিকিৎসা করাতেও বাধা দেয় অভিযুক্ত। বুধবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত দেলোয়ার মোল্লা পলাতক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে শিশুটির বাড়িতে শিন্নি (পায়েশ জাতীয় খাবার) রান্না হয়। তার মা তাকে প্রতিবেশী দাদি—অর্থাৎ দেলোয়ার মোল্লার স্ত্রীর কাছে খাবার দিয়ে আসতে বলেন। শিশুটি খাবার দিতে যায় কিন্তু প্রতিবেশী দাদি তখন বাড়িতে ছিলেন না। সে খাবার নিয়ে ঘরে গেলে দেলোয়ার মোল্লা তাকে ধর্ষণ করে এবং মুখ বন্ধ রাখতে হুমকি দেয়।
চরম যন্ত্রণায় কাতর শিশুটি বাড়ি ফিরে মাকে বিষয়টি জানায়। এরপর দেলোয়ার মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ দেয়। এমনকি চিকিৎসায় বাধা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ২ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দেয়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বুধবার বিকালে স্থানীয়রা অভিযুক্তের বাড়ির সামনে জড়ো হয়। এ সময় দেলোয়ার পালিয়ে যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ শিশুটিকে ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসে। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। মেয়েটির বাবা দেলোয়ার মোল্লাকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দেলোয়ার মোল্লা অতীতে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় ৩০ বছর জেল খেটেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল