ঘন কুয়াশার কারণে যানজটে বিড়ম্বনার কবলে পড়তে হচ্ছে চালক-যাত্রীদের। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। ঘন কুয়াশায় যান চলাচল একদিকে যেমন ধীরগতি হয় অন্যদিকে ঘুন কুয়াশায় ছোট খাটো দুর্ঘটনা আরো দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও কুয়াশার কারণে মাঝে-মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয়প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব পাভেল জানান, ঘনকুয়াশায় দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম হলে দুর্ঘটনায় আশঙ্কায় সেতু বন্ধ রাখা হয়। রাতে কুয়াশার কারনে দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম হয়ে পড়েছিল। এ কারনে রাত ১২.১০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ৫৩ মিনিট সেতুর দুই প্রান্তের টোলপ্লাজা বন্ধ ছিল। এ কারনে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় চালক ও যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছিল।
বাস চালক আব্দুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশার কারনে রাস্তায় কিছু দেখা যায় না। এ কারনে গাড়ীর স্বল্প গতিতে চালাতে হয়। এতে সময় যেমন বেশি হচ্ছে-তেমনি তেলও বেশি পুড়ে খরচে বেড় যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৬-১৭ নম্বর পিলারের কাছে যাত্রীবাহী একটি বাস পেছন থেকে সামনের একটি বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। এ কারনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন ইয়াজদানী বলেন, কুয়াশার কারণে গতরাত সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাত ২টার পর টোলপ্লাজা পুনরায় চালু করা হয়। দীর্ঘ ২ঘন্টায় সেতুর দুই প্রান্তে গাড়ী দাঁড়িয়ে থাকার কারনে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। সেতু খুলে দেয়ার পর খুবই ধীরগতিতে গাড়ী চলাচল করেছে। কুয়াশায় কমে যাওয়ায় বর্তমানে গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, নদী অববাহিকা অঞ্চলগুলোতে ঘন কুয়াশা পড়েছে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিডি প্রতিদিন/এএম