উত্তরের জেলা লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের হিলিতে জেঁকে বসেছে শীত। ঠান্ডর তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জবুথবু অবস্থা এ অঞ্চলের মানুষের। শ্রমজীবী ও নদী পারের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। অঞ্চলের ঘন কুয়াশার কারণে আলুর আবাদ নিয়ে চাষিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর-
লালমনিরহাট : ঘর থেকে বের হতে না পারায় জেলার হাজার হাজার দিনমজুর পরিবার মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। শীত-কুয়াশার দাপটে দিনের বেলাও হাট-বাজার, রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা থাকে। তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অসহায় মানুষ। বেশি কষ্টে আছেন হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। পুরনো গরম কাপড়ের দোকানে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। গতকালও সারা দিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল প্রকৃতি। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ।
হিলি : দিনাজপুরের হিলিতে কিছুদিন ধরেই দাপট দেখাচ্ছে শীত। ঠান্ডার ভয়ে যেমন কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, তেমনি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ফেরিওয়ালারা। বয়স্ক ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানা রোগে। এ উপজেলায় দুপুরের পর থেকেই শীতের মাত্রা বেড়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হয় তীব্র ঠান্ডা। সন্ধ্যা হলেই সড়ক-বাজারে মানুষের চলাচল কমে যায়। দিনমজুর মকবুল হোসেন বলেন, আমরা গরিব মানুষ-অর্থসম্পদ নেই। কাজ না করলে সংসার চলে না। এখন কাজকর্ম তেমন হচ্ছে না। শীতের কারণে খুব সমস্যা হচ্ছে। দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, চলতি মাসের শেষদিকে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
রংপুর : অঞ্চলের ঘন কুয়াশার কারণে আলুর আবাদ নিয়ে চাষিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির পাশাপাশি কুয়াশা পড়ছে। এই কুয়াশা আলুর জন্য ক্ষতিকর। তবে কৃষি বিভাগ বলছে এই আবহাওয়া আলুর জন্য তেমন ক্ষতিকারক নয়। জানা যায়, রংপুর অঞ্চলে চলতি মৌসুমে প্রায় এক লাখ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হচ্ছে। কিছুটা বৈরি আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে খেত পরিচর্যায় নেমে পড়েছেন। পীরগাছা উপজেলার আলু চাষি বুলবুল মিয়া, মাহাবুবসহ অনেকেই কুয়াশার কারণে আলুর আবাদ নিয়ে চিন্তিত বলে জানান। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের ছত্রাকনাশক ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ