দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে নির্মিত হয়েছিল কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার একটি সেতু। দীর্ঘ ৪৯ বছর ধরে সংস্কারের উদ্যোগ ছাড়াই ভেঙে পড়ে আছে এ সেতুটি। এরকম একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চলাচল করতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষকে। ফলে তাদের ভোগান্তির সীমা নেই।
যদিও স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, সেতুটি দিয়ে ভারি যান চলাচল করে আরও ভেঙে গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভূরুঙ্গামারী বাগভান্ডার সড়কের পূর্ব বাগভান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন (বাগভান্ডার- ভূরুঙ্গামারী সড়কে) সেতুটির একাংশ ভেঙ্গে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলছে বিভিন্ন যানবাহন ও এলাকার বসবাসরত মানুষজন। কোন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউ কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় “ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ”-এ কথা লিখে লাল ফিতা টানিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও সেতু বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। এ অবস্থায় চলছে দীর্ঘ সময় যাবত। তবে এ সেতুটি কখন সংস্কার কিংবা নতুন করে নির্মাণ হবে তা এলাকাবাসীসহ কেউই বলতে পারছেন না।
সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে এলাকাবাসীদের অনেকের এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ব্যাপারে অভিযোগ। তারা জানান, উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।যেকোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পাথরডুবি এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম খাতুন বলেন, হামার এ পুল ভাঙি গেইচে কুনদিন। এলাও কাইয়ো ভাল করিল্ না। এতে হামরাগুলা খুব কষ্টে চলছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল মন্ত্রণালয়ের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার আগের এই সেতু হওয়ায় কোন দফতর তা সংস্কার কিংবা পূণঃনির্মাণ করবে তা কেউ জানে না। তাই এটি দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে। তবে পাকা রাস্তার সাথে হওয়ায় সেতুটি গত বন্যায় বেশি ভেঙে যায়। তাছাড়া দীর্ঘদিন যাবত লোড ট্রাক চলাচল করার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা নিজ উদ্যোগে লাল ফিতা টানিয়ে মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন,ইতোমধ্যে সেতুটির স্টিমেট তৈরি করে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব শীঘ্রই এর বাজেট এসে পড়বে এবং দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা