বাণিজ্যিকভাবে ব্রোকলি (সবুজ ফুলকপি) চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের কৃষক মতিয়ার রহমান। বর্তমানে এটা লাভজনক হিসেবে দিনদিন কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তার জমিতে ব্রোকলি (সবুজ ফুলকপি) ফলন হয়েছে ভালো। তিনি এ জমি থেকে এবার ৩০ হাজার টাকার লাভ করবেন বলে আশা করছেন।
দেশের সব অঞ্চলেই ব্রোকলি চাষ করা যেতে পারে। ব্রোকলি উঁচু জমিতে বাম্পার ফলন হয়। সাধারণত যে ধরনের জলবায়ুতে ফুলকপির চাষ হয় সেখানে ব্রোকলি ভালো জন্মে। তবে ব্রোকলির পরিবেশ উপযোগিতার সীমা একটু বেশি বিস্তৃত। পানি জমে না এরূপ উঁচু জমি, উর্বর দো-আঁশ মাটি হলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।
ব্রোকলির গাছ ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো জন্মে। সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন জমি ব্রোকলি চাষের জন্য নির্বাচন করতে হয়। ব্রোকলির সফল চাষের জন্য মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণে জৈবসার থাকা প্রয়োজন। পাহাড়ের পাশে উঁচু জমিগুলোতে ব্রোকলি চাষ হয়ে থাকে। তবে সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন জমি ব্রোকলি চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে। ব্রোকলি এপ্রিল মাসের পরেও ভালো ফলন দিতে পারে।
চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামে মতিয়ার রহমান তার জমিতে ব্রোকলি চাষ করেছেন। তিনি প্রথমে রংপুরের সিও বাজার থেকে ব্রোকলির বীজ সংগ্রহ করেন এবং ১৮ শতক জমিতে ১২২৫টি ব্রোকলির চারা লাগিয়েছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি ব্রোকলি পাইকারি বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি এ জমি থেকে ৩০ হাজার টাকার লাভ করবেন আশা করছেন। তিনি মাত্র ৫ শতক জমিতে শালগম লাগিয়ে তা ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তিনি ওলকপি, ফুলকপি, শালগম, বেগুন, মরিচ ও আলু চাষ করেছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, সুস্বাদু সবজি ব্রোকলি এ দেশে প্রচুর আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চাষিরা পরামর্শগুলো কাজে লাগাতে পারলে ব্রোকলি চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে। ইউরোপ দেশের রুচিশীল সবজি হিসেবে বেশ পরিচিত ব্রোকলি সবজি বাংলাদেশের ফুলকপির মতো এটি অনেকেই বলে থাকেন (সবুজ ফুলকপি)।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল