দেশে নিরাপদ স্যানিটেশন অথ্যাৎ মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৩৯ শতাংশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পৌঁছাতে হলে শতভাগ স্যানিটেশন প্রয়োজন। নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা বাড়াতে হলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি নিতে হবে সমন্বিত উদ্যোগ।
স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। সমস্যার সমাধানও করতে হবে ভিন্নভাবে। মানুষ টয়লেটের বাইরের অংশ নিয়ে যতটা ভাবে, টয়লেটের বর্জ্য নিয়ে তত ভাবে না। এ ব্যাপারে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশকে নির্দিষ্ট সময়ে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে কাজের গতি বা উদ্যোগ পাঁচগুণ বাড়াতে হবে।
রবিবার প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) ও মিউনিসিপাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
পিআইবির মহাপরিচলাক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ম্যাবের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. খালিদ হোসেন। এছাড়া বক্তব্য দেন আইটিএন-বুয়েটের প্রজেক্ট ম্যানেজার আলাউদ্দিন আহমেদ, জিডব্লিউএসসি'র রেসিডেন্সিয়াল ম্যানেজার মাকফি ফারাহ এবং ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন ড. ব্রেন্ডিয়া ইরাওয়তি জান্দাডিও।
মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, দেশে নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এরইমধ্যে ৩২টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্প, বাংলাদেশের ৩০টি পৌরসভায় পানিসরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প, বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প (জিওবি-আইডিবি), বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন (সমন্বিত কঠিন ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) প্রকল্পসহ আরও কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পৌঁছাতে নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় কাজ চলছে। ২০৩০ সালে পৌঁছাতে না পারলেও দুই এক বছর দেরি হবে। কিন্তু এসডিজি বাস্তবায়ন হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত