আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, আওয়ামী লীগ হল সরকারের পাহারাদার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যতদিন সরকার। সেই সরকারের আওয়ামী লীগ হলো পাহারাদার। আগামীকাল তারা ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে সরকারের পতন ঘটাতে। তারা যদি সরকারের পতন ঘটানোর কোনো কর্মসূচি নিয়ে থাকে তাহলে আমাদের দায়িত্ব কী? আমরাই সরকারের পাহারাদার হিসেবে সরকারকে পাহারা দেব।
আজ সকালে ১৯ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভা তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির গণমিছিল ছিল ২৪ ডিসেম্বর। সেই দিন আমাদের জাতীয় সম্মেলন ছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পার্টির সাধারণ সম্পাদক আহ্বান জানিয়েছিলেন তারিখ পরিবর্তন করার জন্য। তারা অত্যন্ত ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারিখ পরিবর্তন করেছে। সেই তারিখ পরিবর্তন মধ্যেই আমরা একটা রহস্য খুঁজে পেয়েছি এবং ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছি।
মির্জা আজম বলেন, গত ২৪ তারিখ ছিল শনিবার। আমরা যারা রাজনীতি করি, শুক্রবার কোনো কর্মসূচি পারতপক্ষে দেই না। দেওয়া হয় না। কিন্তু তাদের পরিবর্তিত তারিখ দিয়েছে শুক্রবার। এটা আমাদের খুব গভীর ভাবে ভেবে দেখতে হবে। শুক্রবার দেওয়া কারণ কী? তাদের সাথে আছে জঙ্গি, যুদ্ধপরাধী ও জামায়াতের মতো বড় ষড়যন্ত্রকারী দল। সেই কারণে শুক্রবারের এই কর্মসূচিটাকে আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন আর গোপনে ষড়যন্ত্র করছে না, প্রকাশ্যেই করছে। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে সরকারের পতন ঘটাবে। তারা নতুন ২৭ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচি হাস্যকর। তাদের মুখে এমন কর্মসূচি শোভা পায় না। তারা যে ষড়যন্ত্র করছে, তার জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। একের পর এক চক্রান্ত করছে। বিজয়ের মাসে তারা ঘোষণা দিয়েছিল ১০ তারিখ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবেন, এয়ারপোর্ট থেকে সোজা বঙ্গভবনে। তারা ক্ষমতা দখল করবে, আর আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা আঙুল চুষবো।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রুহুল আমিন এমপি, ডা. দিলীপ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, মিরাজ হোসেন, মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুন্নবী সাগর, দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন