বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) ‘কৃষিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (৪আইআর) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বারিতে কৃষি পরিসংখ্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (এএসআইসিটি) বিভাগের আয়োজনে ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বারি’র বিভিন্ন বিভাগ, কেন্দ্রে ও উপ-কেন্দ্রের ৫০ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। সভাপতিত্ব করেন বারি’র কৃষি পরিসংখ্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম। কর্মশালায় ‘কৃষিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই’র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হলো শিল্পখাতে প্রথাগত উৎপাদন ব্যবস্থাকে স্বয়ংক্রিয়করণের বর্তমানে চলমান এক ব্যাপক রূপান্তর প্রক্রিয়া। এর অংশ হিসেবে উৎপাদন ব্যবস্থার সকল ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়করণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), ক্লাউড কম্পিউটিং ও এনালাইটিক্স, বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদির ব্যবহার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশ সরকার কৃষিসহ উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে চুতর্থ শিল্প বিপ্লবের মূলধারায় যুক্ত থাকার নীতি গ্রহণ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সম্পর্কিত আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক ধারণা ও সুবিধার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে ইতিমধ্যে কৃষিতে রিমোট সেন্সিং, জিওস্পাশাল মডেলিং, ইন্টারনেট অব থিংস, বায়োইনফরমেটিক্স, ক্রপ সিমুলেশন মডেলিং ইত্যাদিও প্রয়োগ সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, বারি’র এএসআইসিটি বিভাগে কৃষিতে স্যাটেলাইট ও ড্রোনভিত্তিক রিমোট সেন্সিং এবং জিওস্পাশাল মডেলিংয়ের প্রয়োগ এবং আইওটিভিত্তিক টেকসই ফসল উৎপাদন সংক্রান্ত দুইটি গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহায়তা করবে। এছাড়া উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র হাইড্রোপনিক্স সিস্টেমে সেন্সর ব্যবহার করছে, যা আইওটি ব্যবহার করে আমাদের দেশের উপযোগী দক্ষ, নিবিড় ও নিখুঁত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই