ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে নানা মন্তব্য-সমালোচনায় ইমেজ হারাচ্ছে খুলনা বিএনপি। ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাসকে ঘিরে দলের বাইরেও হাস্য-তামাশার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে সদ্য বিদায়ী নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। দুজনই দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। শফিকুল আলম মনা কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম মঞ্জু গতকাল (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা পৌঁছান। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদান, চোখে চিকিৎসার পাশাপাশি উ™ভূত সংকট উত্তরণে তিনি সাংগঠনিক তৎপরতা চালাবেন বলে জানা গেছে। জানা যায়, ৯ ডিসেম্বর মহানগর কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ শীর্ষ সব নেতাকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত আংশিক কমিটিতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর থেকে খুলনা বিএনপিতে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। শফিকুল আলম মনা বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আলাদাভাবে আহ্বায়ক কমিটির সব সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছেন, মতামত জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গঠনের তাগিদ দিয়েছেন। মনা বলেন, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। কিন্তু খুলনায় কমিটি নিয়ে যা হয়েছে তা কোথাও হয়নি। তবে সবকিছুই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নখদর্পণে আছে। নগরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির বলেন, ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের বলেছেন-আপনারা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের মতো করে সবার কাছে যান। কোনো সমস্যা হলে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন।
এদিকে মনা-জহির-তুহিন সমর্থকরা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিরোধিতা করায় মঞ্জুকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।
তারা বলছেন-আহ্বায়ক কমিটিতে যারা আছে, তারা নিজেদের আলোয় আলোকিত। রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে আসা। কিন্তু আপনার (মঞ্জু) চারপাশে যারা আছেন, তারা আপনার আলোয় আলোকিত। তাদের সঙ্গে নিয়ে তাসের ঘরের মতো ধ্বংস দেখা ছাড়া করার কিছু থাকবে না। জবাবে মঞ্জু সমর্থকরাও পাল্টা নানা মন্তব্য করেছেন। অনেকে বলেছেন- এ ধরনের কথা চালাচালিতে রাজনৈতিক ইমেজ হারাচ্ছে খুলনা বিএনপি।
মঞ্জু সমর্থক ও নগর বিএনপির বিদায়ী সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘শীর্ষ নেতা মঞ্জু ঢাকায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেছেন। এরপর চোখের চিকিৎসা করাবেন।’ সমর্থকরা বলছেন- এসব কাজের মধ্যে তিনি শোকজের জবাব ও রাজনৈতিক তৎপরতাও চালাবেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী যারা তার অনুসারী রয়েছে, তাদের জন্য সংকট উত্তরণের চেষ্টা করবেন। উল্লেখ্য, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে কেন্দ্র থেকে শোকজ করা হয়েছে মঞ্জুকে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল