ব্যাংকে জমা রাখা টাকার লভ্যাংশ কোষাগারে না দিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে দিয়েছিল সরকার। সেই টাকা ব্যাংকে জমা রাখে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। ব্যাংক জমা থাকা টাকার অনুকূলে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেয়। ১৯ ডিসেম্বর ব্যাংক থেকে টাকাগুলো উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর টাকা ভাগ বাটোয়ারা করা হয়।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে পাওয়া শিক্ষা ও মেধা বৃত্তির ২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংকের গ্রেটার রোড শাখায় রাখা হয়। ওই টাকার বিপরীতে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা লভ্যাংশ পায় বোর্ড। টাকাগুলো নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই টাকা ভাগ করে নিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শিক্ষা বোর্ডের অডিট শাখা থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান ৩৫ হাজার, সচিব ৩০ হাজার, বৃত্তি শাখায় কর্মরত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ২৪ হাজার ৮০০, সহকারী ২১ হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছেন। এভাবে চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের মাঝে এই টাকা ভাগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) বাদশা হোসেন জানান, এই প্রথম শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে বৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির সদস্যদের অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে টাকাগুলো দেওয়া হয়েছে। আলাদা কোনো অর্থ বরাদ্দ না থাকায় লভ্যাংশের টাকা থেকেই দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব