সাভারে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে কারখানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে একটি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক। দাবি আদায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানার কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া সড়কের শাহিবাগ এলাকায় অবস্থিত আজিম গ্রুপের গ্লোবাল আউটার লিমিটেড ও গ্লোবাল ফ্যাশন গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় এ শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এদিকে শ্রমিক অসন্তোষের মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানা দু’টিতে একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকেরা কারখানায় প্রবেশের পর কাজ না করে দাবি আদায়ে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানার কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে শিল্প পুলিশের সদস্যরা শ্রমিকদের নিরাপদে কারখানা থেকে বের করে দেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে বিক্ষোভ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্য করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কারখানার দুই কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
কারখানার ব্যবস্থাপক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমরা প্রতিমাসে নির্দিষ্ট সময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি কারখানায় কাজ কমে যাওয়ায় এই মাসে আমাদের বেতন পরিশোধে সময় লাগছে। তবে খুব শিগগিরই শ্রমিকদের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানায় ভাঙচুরের পাশাপাশি সড়কে অবস্থান নিয়ে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটালে আমরা তাদের সরিয়ে দিই। এছাড়া যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক