কৃষির উন্নয়নে ই-কৃষি প্রান্তিক চাষিদের সার্বক্ষণিক সহায়তা দেবে। ‘১৬১২৩’ নম্বরে কল করে কৃষকরা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদের বিষয়ে যাবতীয় পরামর্শ নিতে পারবেন। উন্নত প্রযুক্তি নতুন উদ্ভাবিত জাত কৃষকদের দৌড়গোড়ায় সহজেই পৌঁছে যাবে। এতে কৃষকদের অর্থ, শ্রম ও সময় সাশ্রয় হবে। বাড়বে প্রযুক্তি জ্ঞান। প্রান্তিক কৃষকরা আধুনিক চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হবেন।
মঙ্গলবার সকালে বরিশাল নগরীর সাগরদী ধান গবেষণা ইনস্টিটিউন মিলনায়তনে আঞ্চলিক কৃষি তথ্য সার্ভিস আয়োজিত ‘কৃষি উন্নয়নে ই-কৃষি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন। বরিশাল কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গোলাম মো. ইদ্রিসের সভাপতিত্বে এবং কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম ও আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ই-কৃষি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। কল সেন্টারের মাধ্যমে কৃষকদের সেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বাংলাদেশের কৃষিও এখন ডিজিটালাইজড।
বক্তারা আরও বলেন, প্রতি উপজেলায় কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে ই-কৃষি সম্পর্কে কৃষকদের প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে কৃষি তথ্য বিস্তারে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রগুলো ইতিবাচক অবদান রাখছে। সামগ্রিক অর্থে কৃষকদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করাই ই-কৃষি সেবার প্রধান লক্ষ্য।
কর্মশালায় কৃষকসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অর্ধশত প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন