তুরাগ নদের তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইডব্লিটিএ। মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনব্যাপী তুরাগ নদের বাটুলিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে গত কয়েক বছর ধরে তুরাগ নদের পাড় ঘিরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
রাজধানীকে ঘিরে থাকা নদ-নদীগুলোর দুই পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান ৫ম দিনে গড়িয়েছে। সকালে কামার পাড়া এলাকায় বিআইডাব্লিউটিএর পরিচালনায় শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।
তুরাগ নদ ও এর প্লাবন ভূমি দখল করে গড়ে ওঠা টিনশেড ঘর, বহুতল ভবনসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে বরাবরের মতোই যাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে তারা বলছেন, কোন নোটিশ পাননি তারা।
বিআইডাব্লিউটিএ বলছে, নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে কোন নোটিশের প্রয়োজন নেই। নদী ও খাল উদ্ধারে বিআইডাব্লিউটিএর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদের এক পর্যায়ে সীমানা জটিলতায় একটি বিলাশ বহুল ভবন ভাঙা নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। রাজউক, বিআইডাব্লিউটিএ কারও অনুমোদন না থাকা সত্বেও ভবনটি ভাঙা যায়নি।
উচ্ছেদ অভিযান চলে কামারপাড়া ব্রিজ পেরিয়ে তুরাগ নদের দু'পাড়েও। এই অংশেও বেশ কিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। বিআইডাব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, কোনো আইন-কানুন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই তুরাগ নদীর তীরে গড়ে ওঠেছে শত শত বসতবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। স্থাপনাগুলো নদীর জায়গা হলেও অবৈধভাবে বেদখলে রয়েছে বছরের পর বছর।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল