ঘন কুয়াশায় নৌপথে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন চালকরা। বিশেষ করে নৌপথে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশক চিহ্ন (বয়া ও বিকন বাতি) না থাকায় ঘন কুয়াশায় মাঝ নদীতে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন নৌযান মাস্টার ও চালকরা। জরুরি অবস্থায় মাঝ নদীতে ফগ লাইট জ্বালিয়ে নোঙ্গ করে থাকতে হচ্ছে তাদের। এতে একদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি, অপরদিকে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না যাত্রীবাহী নৌযানগুলো।
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দর থেকে দূরপাল্লার ঢাকা রুটসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যায় অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী নৌযান। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল।
নৌযান মাস্টার ও চালকরা জানান, গভীর রাতে এবং ভোররাতে ঘন কুয়াশায় নৌযান চলাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। নদীতে দিক নির্দেশক বয়া ও বিকন বাতি না থাকায় ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে অনেক সময় মাঝ নদীতে নৌযান নোঙ্গর করে রাখতে হয়। কুয়াশা কমলে আবার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যেতে হয়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে এবং গন্তব্যে যেতে বিলম্ব হয়। তারা নদীতে প্রয়োজনীয় বয়া ও বিকন বাতি স্থাপনের দাবি জানান।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মিলন হাওলাদার জানান, বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় শনিবার ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রবিবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বরিশালে গত শনিবার খালী চোখে কুয়াশার দৃষ্টিসীমা ছিল ১৫০০ মিটার। রবিবার দৃষ্টিসিমা ছিল আড়াই হাজার মিটার। তবে নদ-নদীতে ঘন কুয়াশা পড়ছে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম