বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে এবারও এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। পাশের হার এবং জিপিএ-৫ দুটোতেই ছেলেদের পেছনে ফেলে এগিয়ে আছে তারা। গত বছরও দুই মানদণ্ডে এগিয়ে ছিলো মেয়েরা।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬৯ জন। পাশের হার ৯৭.০৫ ভাগ। এর মধ্যে মেয়েরা পাস করেছে ৫৯ হাজার ৯০৩ জন। পাশের হার ৯৭.৭২ ভাগ। আর উত্তীর্ণ হওয়া ছেলেদের সংখ্যা ৫১ হাজার ৫৬৬ জন। পাশের হার ৯৬.২৮ ভাগ। মেয়েরা ৮ হাজার ৩৩৭ জন বেশি পাশ করে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে।
এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯০৬ জন। এর মধ্যে মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ১০৫টি। ছেলেরা পেয়েছে ১ হাজার ৮০১টি। মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ১ হাজার ৩০৪টি জিপিএ-৫ বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। একই সঙ্গে পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ১.৪৪ ভাগ বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
গত বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২২৩টি। ছেলেরা পেয়েছে ৩ হাজার ২০৮টি। মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ২ হাজার ১৫টি জিপিএ-৫ বেশি পেয়ে এগিয়ে ছিল।
ধারাবাহিকভাবে মেয়েরা এগিয়ে থাকার বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, বর্তমান সময় অভিভাবকরা মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বেশি আন্তরিক। তাছাড়া মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় পড়াশুনায় বেশি মনযোগী। তারা পড়াশুনার পেছনে বেশি সময় ব্যয় করে। ছেলেরা পড়াশুনার চেয়ে বাইরে বেশি সময় ব্যয় করে। এসব কারণে ধারাবাহিকভাবে মেয়েরা ফলাফলে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন বলেন, এখন অভিভাবকরা অনেক সচেতন। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ভাল হওয়ায় মেয়েরা ফলাফলে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন এবং আন্তরিকতার অভাব নেই। এর সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকরা নিবিড়ভাবে সহযোগী হয়ে কাজ করছেন। যার ফল জেএসসি, এসএসসি সহ অন্য পরীক্ষায় পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া মেয়েদের বেশি পড়িয়ে লাভ নেই ধারণাও পাল্টেছে। এসব কারণে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা