নির্বাচনে জয়ী হলে রাজনৈতিক দলসমূহ ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার এ বিষয়ে দলসমূহের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে না। তাই ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করতে হবে।
আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা ও গবেষণা ভিত্তিক সংগঠন ‘মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস' এ দাবি জানায়।
আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার পর্যালোচনা করে ‘তারুণ্যের নির্বাচনী ইশতেহার পর্যালোচনা’ শীর্ষক ইশতেহার সম্পর্কিত দাবিসমূহ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ‘মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস' এর আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ। লিখিত দাবিসমূহ পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য আরিফুল ইসলাম, মারুফ আহমেদ, আসাদুল্লাহ লায়ন ও জীম মন্ডল।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তাদের শিক্ষা সংক্রান্ত নানা দাবি ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করায় মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টকে ধন্যবাদ জনানো হয়।
তাদের অন্যান্য দাবিসমূহ হলো, তরুণ সমাজের দাবি অনুযায়ী শিক্ষানীতি ও বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে সকল শ্রমশক্তির কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪০ বছর নির্ধারণ করতে হবে। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে ২০২৩ সালের মধ্যে দূতাবাস স্থাপনের ব্যবস্থা এবং প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধকরণ ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
তারা দাবি জানান, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূল করতে হবে এবং আইনের শাসন বাস্তবায়ন করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও সকলের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, সড়ক, নৌ, রেল ও বিমানপথের পুনর্গঠন ও উন্নয়নে দীর্ঘ-মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ, গ্রামীণ সমাজের প্রকৃত পরিবেশ বজায় রেখে এর অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নসহ কৃষি, শিল্প, জ্বালানীসহ নানা দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন