চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সাবেক সফল মেয়র, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী হচ্ছে একটি সংগ্রামের নাম। আমৃত্যু চট্টগ্রাম-চট্টগ্রামবাসীর জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি কর্মজীবী মানুষের পক্ষে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। দাবি আদায়ে তিনি ছিলেন আপোষহীন। নিজ দলের সরকারের সময়েও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে তিনি রাজপথে নেমেছেন। তার জনবান্ধব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর মনে চির ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মবীর এ মানুষটির নামে করার দাবি জানান। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দাবির প্রতি সমর্থন রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয় সভা থেকে।
শোকসভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমার বাবা কাজ করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাবার অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় ভবিষ্যতেও আপনাদের সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ব্যারিস্টার নওফেল বলেন, দেশের বাইরে নিয়ে বাবার চিকিৎসা প্রদানসহ সার্বিক বিষয়ে তিনি সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে যত আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে, প্রত্যেকটির পেছনে মহিউদ্দিন ভাইয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছিল। দাবি আদায়ে তিনি সবসময় ছিলেন আপোষহীন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, একজন সফল নেতার যে গুণসমূহ থাকা প্রয়োজন তার সবগুলোই মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছিল।
রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রেস ক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, আমাদের বাবা আজ আমাদের মাঝে নেই। তিনি চট্টগ্রামের সবাইকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন। তার ধ্যান-ধারণা ছিল শুধু চট্টগ্রামের উন্নয়ন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের কার্যকরী সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও মোয়াজ্জেমুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, বিএফইউজে’র যুগ্মমহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সহসভাপতি সমীর কান্তি বড়ুয়া, সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, সিইউজের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক ও মোস্তাক আহমদ, সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল করিম কচি, দেব প্রসাদ দাস দেবু প্রমুখ।
শোকসভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন শ্যামল ও ছড়া পাঠ করেন ক্লাবের স্থায়ী সদস্য নুর মোহাম্মদ রফিক। শোকসভায় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক রোকসারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাহাদুর, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, মহিউদ্দিন চৌধুরীর পিএস মোহাম্মদ ওসমান গণি, যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, বেসরকারী কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান, আমীন হোসেন’সহ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এবং সিইউজের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন