মাদারীপুরের কালকিনিতে বিস্ফোরণে আহত তরুন শফিক সিকদারকে (১৬) পুলিশ প্রহরায় বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার ভোররাতে শফিককে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে ভর্তি করে কালকিনি থানা পুলিশ। এর আগে গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় নাম ও পিতার নাম পরিবর্তন (ছদ্ম নাম আশিক, পিতার নাম জব্বার সিকদার) করে শফিককে বরিশালের গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। আহত শফিক কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খুনেরচর গ্রামের ইউনুস সিকদারের ছেলে। সে নারায়নগঞ্জের বিসিক শিল্প নগরীর ১ নম্বর রোডের মেহেদী হাসানের বিরিয়ানীর দোকানে কাজ করত। ৬ দিন আগে ছুটিতে বাড়ি যান তিনি।
বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তির গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির খবর পেয়ে ওই রাতেই স্থানীয় থানা পুলিশ শফিককে আটক করে কালকিনি থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
বোমা বানানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আটক শফিক জানান, রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ির পাশে মরিচ ক্ষেতে গিয়ে দেখেন রিফাত নামে এক প্রতিবেশী ছাতার অব্যবহৃত পাইপে বিস্ফোরক ভরে ফুটাচ্ছিল। তিনি কৌতুহলবশত বিস্ফোরক ভরা ছাতার পাইপ নিয়ে বাম হাতে নারাচাড়া করার সময় আকস্মিক সেটি বিস্ফোরিত হয়। এরপর আর কিছুই মনে নেই তার।
শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শফিকের বাম হাতের সববগুলো আঙ্গুল কমবেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। পরবর্তী আপডেট জানতে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
শফিককে প্রহরার দায়িত্বে নিয়োজিত কালকিনি থানার এএসআই চাঁন মিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে তার ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ প্রহরায় শফিককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল