প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রামে এবার পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। পিএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৯৫৩ জন এবং জেএসসিতে পেয়েছে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ও চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় পৃথকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে এবার পিএসসিতে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ ৫। এ বছর পিএসসিতে পাসের হার ৯৭ দশকি ৫২ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৯৫৩ জন। গতবছর পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১২ হাজার ৬৩৪ জন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের কারণে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে পাসের হার বেড়েছে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা পরিবার থেকে সৃজনশীল বিষয়ে খুব একটা জানতে পারে না। তাই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের সৃজনশীল বিষয়ে আরও অধিকতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে।
জানা যায়, এ বছর চট্টগ্রাম জেলার ২০ শিক্ষা থানায় পিএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৯৫৩ জন।
অপরদিকে, জেএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড এ ফলাফল প্রকাশ করে।
এ বছর জেএসসিতে পাশের হার, জিপিএ ৫ ও শতভাগ পাশ করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে। গতবছর পাশের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১২ হাজার ২৬৮ জন, এবার পেয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ৩১৫ জন ছাত্র ও ৭ হাজার ৮২০ জন ছাত্রী।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান বলেন, এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে ২১১টি কেন্দ্রে মোট ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ৮১ হাজার ৮২৫ জন, ছাত্রী ৯৯ হাজার ৮২৭ জন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামগ্রিক ফলাফল গতবারের চেয়ে ভাল। চট্টগ্রামে জেএসসি’র ফলাফলে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। এবার জিপিএ ৫ এর ভিত্তিতে বোর্ড সেরা স্কুল নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৬৭ জন জিপিএ-৫ পায়। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলের ৩২১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। তৃতীয় অবস্থানে আছে কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৬ জন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ হাজার ২০৯টি বিদ্যালয়ের ২১১টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৭৯ হজার ৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫২৪ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৫৯৭ জন ছাত্র এবং ৮৮ হাজার ৯২৭ জন ছাত্রী। এবার চট্টগ্রামে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ভাল ফলাফল করেছে। চট্টগ্রামে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে পাস করেছে ৯১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং মেয়ে পাশ করেছে ৯০ দশমিক ৪২ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ