টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর শহরের একটি মাঠে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাঁচটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি ইজতেমায় আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে টাইম বোমাগুলো বহন করা হচ্ছিল।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের পর টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশে অস্থায়ী মিডিয়া সেন্টারের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন আর রশিদ এসব কথা জানান। এসময় গাজীপুর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জয়দেবপুর থানা পুলিশের একটি দল রবিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ইজতেমা ময়দান থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কুনিয়া তারগাছ এলাকার বালুর মাঠে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা এটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই ব্যাগে তল্লাশী চালিয়ে একটি রিমোট কন্টোলসহ ৫টি টাইম বোমা উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশের বোমা ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করে। প্রথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, বিশ্ব ইজতেমায় নাশকতা ও বিদেশীসহ আগত মুসল্লীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুর্বৃত্তরা ওই বোমা বহন করছিল। পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার কারণে দুর্বৃত্তরা সেগুলি ওই স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশের তৎপরতা চলছে।
এদিকে, বোমা উদ্ধারের খবর পেয়ে আখেরী মোনাজাতে অংশ গ্রহন শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম আলম ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তগণ তাৎক্ষণিকভাবে অস্থায়ী মিডিয়া সেন্টারের পাশে রাখা বোমা দেখতে যান এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসময় তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ সুপারকে অনুরোধ জানান।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব