বরিশালে কলেজছাত্রকে আটকে চাঁদা দাবি এবং তার মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল আল-আমিন এবং তার সহযোগী গোলাম আল রাজি বনিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার গ্রেফতারের পর শনিবার ওই দুই জনকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার আবু সাঈদ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত কনস্টেবল আল-আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল শনিবার পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।
কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল আল-আমিন ও তার সহযোগী গোলাম আল রাজি বনি’র বিরুদ্ধে গত ১২ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ১১ জানুয়ারি তার ছেলে কলেজছাত্র এসএম আসিফ জামান বরিশাল নগরীর গোরস্থান রোড ধোপাবাড়ির মোড় দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত আল-আমিন ও বনি তার গতিরোধ করে। এসময় আসিফকে আটক করে তার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে তারা। আসিফ তার মায়ের কাছে ফোন করে টাকা চাওয়ার কথা জানায়। তাৎক্ষণিক টাকা দিতে না পাড়ার আল-আমিন ও তার সহযোগী আসিফের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
কোতোয়ালী থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, ওয়াহেদুজ্জামানের দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার আল-আমিন ও তার সহযোগী বনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে প্রেরন করা হলে বিচারক দুই জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব