আগামী পৌর নির্বাচনে নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, আমি ব্যকরণে দুর্বল। গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে এটুকু বুঝেছি, এখানে নিরপেক্ষতা অর্থ সরকারি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিরবে পক্ষ নেন।
তিনি তারাবো পৌরসভার উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে আমাদের এক প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে। এখন সেই পোলিং এজেন্ট বাড়িতেই থাকতে পারছেন না।
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল- এর কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'পৌরসভা নির্বাচনঃ নিরপেক্ষতা ও বাস্তবতা'' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
হান্নান শাহ বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার কোন সুযোগই ছিল না। এবার আছে। নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বুঝেছি, এবার ভোটাররা ঠিক করে নিয়েছেন তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দেবেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত হয়ে গেছে। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফকে উদ্দেশ্য করে বলেন, '' এবার বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচ্যগ্র মেদিনী।''
নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ''তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। তারা এবার অন্তত নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন। আর সেটা যে সরকার দলীয় লোকজন তা তাদের বক্তব্যে পরিস্কার হয়ে গেছে। ইসি সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে। অর্থাৎ, আওয়ামী লীগের লোকজনই নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। বিএনপি'র লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ইসি খালেদা জিয়ার সহযোগিতা চাইতো।''
দেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব নেই মন্তব্য করে হান্নান শাহ বলেন, জঙ্গিবাদের ধুয়ো না তোলাই ভালো। ওই ধুয়ো তুলে একটা বিশেষ বাহিনীর লোকেরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর রাতের বেলা ভালো ব্যবসা করে সকালে ছেড়ে দিচ্ছে। যাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারছে না তাদের নামে বিভিন্ন ধারায় মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের উনারা যত সহজে খুঁজে বের করতে পারছেন, অপরাধীদের সেভাবে পারছেন না।
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহম্মদ ছহুল হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, সাবেক আইজিপি হাদিস উদ্দিন, ফেয়ার ইলেকশন মনিটিরিং অ্যালায়েন্স (ফেমা) প্রধান মুনিরা খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ শারমিন মুর্শিদ, ৭১ টেলিভিশনের বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ব্যারিস্টার আহসান হাবিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে ৭১ টেলিভিশন।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ