সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহম্মদ ছহুল হোসাইন বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ করতে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, রাজনৈতিক দলসহ সবার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা দরকার। আইনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় মন্ত্রী-এমপিরা যদি নির্বাচনী এলাকায় যান তবে সংশ্লিষ্ট দলকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় প্রধানকে এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে হবে। তাহলেই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচন কমিশন তো চূড়ান্ত রেফারি হিসেবে আছেই।
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল- এর কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'পৌরসভা নির্বাচনঃ নিরপেক্ষতা ও বাস্তবতা'' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
ছহুল হোসাইন বলেন, নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট একটা বড় ব্যাপার। অনেক সময় ভোটকেন্দ্রের মধ্যে গণ্ডগোল লাগাতে এদের ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় একাধিক ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে কেন্দ্রের মধ্যে পোলিং এজেন্ট বাড়িয়ে ভোট প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করা হয়। এজন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রার্থীর নির্দিষ্ট সংখ্যক সমর্থক থাকার বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটের সময় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে প্রচুর সাংবিধানিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোন অযাচিত ঘটনার ক্ষেত্রে ইসি বলতে পারবে না আমরা উদ্বিঘ্ন। উদ্বেগ নিয়ে নির্বাচন চালানো যাবে না। প্রয়োজনে নির্বাচন স্থগিত করতে হবে। বেশি ঝামেলা হলে নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচন করার সাহস দেখাতে হবে। কোথাও ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটা কমিশনকে দেখতে হবে। পৌরভোটের আর বেশিদিন বাকি নেই। তবে নিরপেক্ষ থাকার আইনি শক্তি দৃশ্যমান করার সময় এখনও ইসির হাতে আছে। সেটা করতে পারলে কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা আসবে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, সাবেক আইজিপি হাদিস উদ্দিন, ফেয়ার ইলেকশন মনিটিরিং অ্যালায়েন্স (ফেমা) প্রধান মুনিরা খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ শারমিন মুর্শিদ, ৭১ টেলিভিশনের বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ব্যারিস্টার আহসান হাবিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে ৭১ টেলিভিশন।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ