রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ছাত্রলীগ। কর্মসূচি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বির’দ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দেন নেতৃবৃন্দ। এদিকে ঘটনার তদন্তের দাবিতে শিক্ষক সমিতি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক এ টি এম রফিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাবির পরিবহন মার্কেটে ছাত্রলীগের টেন্ট থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে তা প্রশাসন ভবনের সামনে শেষ হয়। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা।
এদিকে, রোকয়ো হলের আবাসিক শিক্ষক এ টি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানির অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে হলটির ৩৩২ জন ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী গণসাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন। মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে সংগ্রহ করা সেই গণসাক্ষরের একটি কপি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বুধবার এ টি রফিকুল ইসলাম রাবি শিক্ষক সমিতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ বরাবর ঘটনার তদন্ত দাবি করে লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ছালত্রীগের পরিচয়ে সিট না পাওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের (উর্দু) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ