চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি বাঘ আনা হয়েছিল। বাঘ দুটির নাম দেওয়া হয়েছিল রাজ ও পরী। সেই রাজ ও পরীর ঘরে দ্বিতীয়বারের মত নতুন অতিথি এসেছে- দুটি শাবক। সোমবার দুপুরে রাজ ও পরীর ঘরে এ দুই অতিথি যোগ হয়।
বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা হলো ছয়টি। এর মধ্যে তিনটি নারী ও একটি পুরুষ। তবে নতুন অতিথিদের লিঙ্গ এখনো জানা যায়নি।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বাঘ ও একটি বাঘিনী আনা হয়েছিল। সেই বাঘের ঘরে গত ১৯ জুলাই দুটি শাবক জন্ম হয়েছিল। এখন আরও দুটি শাবক যোগ হলো।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাজ ও পরীর ঘরে সোমবার দুটি শাবক জন্ম নেয়। এর আগে গত ১৯ জুলাই দুটি শাবক জন্ম দিয়েছিল রাজ-পরী। বর্তমানে ৬টি বাঘ হলো। আপাতত শাবক দুটির কাছে কিউরেটর ছাড়া কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে তারা সুস্থ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সাহসী উদ্যোগের ফলে চিড়িয়াখানায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি বাঘ আনা হয়েছিল। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে এখন ছয়টি বাঘ হয়। আগামীতে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।’
জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশিস্থ ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির উপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন। দেশে প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ইনকিউবেটরে অজগরের ২৬টি বাচ্চা ফোটানো হয়েছে এ চিড়িয়াখানায়। বর্তমানে সেখানে ৬৭ প্রজাতির সাড়ে তিন শতাধিক পশু-পাখি আছে। চিড়িয়াখানায় আছে দেশের একমাত্র দুর্লভ সাদা বাঘ, জেব্রা, সিংহ, হরিণ, ভালুক, বানর, কুমির। আছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি (পক্ষীশালা)। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের পক্ষীশালায় আছে ৬ প্রজাতির ৩০০ পাখি। পাখির মধ্যে আছে, লাভ বার্ড ২০ জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড পারোট ১০, কোকাটেইল ৫০ ও ম্যাকাও ১ জোড়া। শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে কিডস জোন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম