চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বেদখল করে রাখা জায়গা উদ্ধারে কঠোর হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্পত্তিতে অবৈধ প্রবেশ বা দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ’ শীর্ষক একটি চিঠি দেওয়া হয়। নোটিশ প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযোগ আছে, নগরের ৪১ ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থান দখল করা হয়েছে। যথাযথ তদারকির অভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব জায়গা দখল করে। এ নিয়ে চসিকের কঠোর কোনো তদারকি থাকে না। তবে বেহাত হতে যাওয়া জায়গাগুলো উদ্ধারে চসিকের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ মাঝে মাঝে তৎপর হয়। বেদখলে থাকা জায়গা উদ্ধারে পরিচালিত হয় অভিযান। কিন্তু এসব কাজের কোনো ধারাবাহিকতা না থাকায় কার্যকর ফল আসে না। ফলে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নানাভাবে বেদখল হয়ে যায় চসিকের সম্পত্তি।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম বলেন, ‘আমরা চসিকের বেদখলে থাকা জায়গা উদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি। চিঠি প্রদানের সাতদিনের মধ্যে নিজ উদ্যোগে স্থাপনা অপসারণ বা জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় অভিযানের মাধ্যমে জায়গা চসিকের দখলভুক্ত করা হবে। তাছাড়া এ কাজে নির্ধারিত অর্থ আইনের মাধ্যমে কর হিসেবে দখলকারীর কাছ থেকে আদায় করা হবে।’
চিঠিতে বলা হয়, সরেজমিন তদন্তে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, আপনি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে স্থায়ী-অস্থায়ী ঘর, দোকান ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন। যা স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন আইন) ২০০৯ এর তৃতীয় তফসিলের ৪১ ধারার ক্রমিক নং ১৮ (১০) এর বিধান মতে উচ্ছেদযোগ্য। এমতাবস্থায় নোটিশে বর্ণিত ঘর, দোকান, অবকাঠামো ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ এ নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার আইন মতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বাধ্য হবে। এ কাজে নির্ধারিত অর্থ আইনের অধীনে আরোপিত কর হিসাবে আপনার থেকে আদায় করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক