চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ডেন্টাল ইউনিট ১৯৯০ সালে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসক হিসেবে স্নাতক পাশ করেছেন। যারা দেশ-বিদেশের নানা স্থানে মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। ডেন্টালের এসব শিক্ষার্থী দাঁত ও মুখ গহবরের রোগ চিকিৎসায় গত ৩০ বছর ধরে অবদান রাখছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শাহ্ আলম বীর উত্তম অডিটোরিয়ামে চমেক ডেন্টাল ইউনিটের দিনব্যাপী প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সকাল ৯টায় বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল কাশেম, মহাসচিব ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির বুলবুল, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো মুজিবুল হক খান, চমেক ডেন্টাল ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আকরাম পারভেজ চৌধুরী।
পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির সভাপতি ডা. সঞ্জয় দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচির ডা. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে সাবেক কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেয়া হয়। চমেক ডেন্টাল ইউনিট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম স্নাতকোত্তরে উত্তীর্ণ হওয়াদের বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে ওরাল সার্জারিতে বাংলাদেশের প্রথম এফসিপিএস ডা. আনোয়ার সাদাত জাবেদ, কনজার্ভেটিভ ডেন্টিস্ট্রিতে ডা. আবু রুশদ মাশরুর, প্রস্থো ডন্টিকসে ডা. একেএম সালাউদ্দিন স্বপন, প্রথম এমপিএইচ ডা. খাদিজাতুল কোবরা রুপু, এমআরসিএসে ডা. নাইমুল ইসলাম, অর্থোডন্টিক্সে ডা. সুফিয়া নাসরিন রিতা, আমেরিকান বোর্ড অব ওরাল রেডিওলজির ডিপ্লোমেট ডা. সাইফুল ইসলাম। অতিথিরা তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে ছিল বাউল সংগীত, পিঠা উৎসব, আড্ডা, ডক্টরস এন্ড স্টুডেন্টস নাইট। এতে সংগীত পরিবেশন করেন তৌফিক এন্ড ফ্রেন্ডস, নিশিতা বড়ুয়া ও ব্যান্ড দল এলআরবি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন