চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বারৈইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন এবং যানজট নিরসনে বাস-ট্রাক টার্মিনাল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সোমবার সকালে চসিকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রকৌশলীদের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, অতিরিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা প্রমুখ।
চসিক মেয়র বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন খালটি খনন এবং যানজট নিরসনে টার্মিনাল নির্মাণ খুব জরুরি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদেরও দ্রুত কাজ এগিয়ে নিতে বলা হয়েছে।’
জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের ডিপিপি অনুযায়ী নতুন খালটি বহদ্দাহাট বাড়ইপাড়া চাক্তাই খাল থেকে শুরু করে শাহ আমানত সড়ক হয়ে নুরনগর হাউজিং সোসাইটির মাইজপাড়া দিয়ে পূর্ব বাকলিয়া হয়ে বলীর হাটের পাশে কর্ণফুলী নদীতে পড়বে। খালের দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৬৫ ফুট। খালটির মাটি উত্তোলন, সংস্কার ও নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালের উভয় পাশে ২০ ফুট প্রশস্ত ২টি সড়ক নির্মিত হবে।
অন্যদিকে, সভায় ১৬ একর জায়গার ওপর ২৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর কুলগাঁও বালুছড়ায় আধুনিক বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। টার্মিনালের জায়গার মধ্যে সিডিএর মালিকানাধীন রয়েছে ৮ একর। বাকি জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে। অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা। জমির উন্নয়ন বাবদ ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। বাস-ট্রাক টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত