একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে সব ধরনের মিল-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বন্ধ ছিল না চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের অর্থনীতির হৃৎপিন্ড খ্যাত এই বন্দরে ছুটির দিনেও বহির্নোঙর এবং জেটিতে জাহাজে মালামাল উঠা-নামা ছিল স্বাভাবিক।
তবে ট্রাক, কনটেইনার মুভার চলাচল বন্ধ থাকার কারণে বন্দরের কোনো পণ্য সরবরাহ হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক। কিন্তু এতে কোনো রকমের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি কিংবা কোনো পক্ষকে (বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দর ব্যবহারকারি) অন্য কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি বলেও জানান বন্দরের এই কর্মকর্তা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেটিং কার্মক্রম কখনো বন্ধ থাকে না। শুধুমাত্র দুই ঈদে মাত্র ৮ ঘণ্টার জন্য বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে বন্দরের কার্যক্রম থাকে স্বাভাবিক। এবারও তার ব্যাত্যয় ঘটেনি। রবিবার জাতীয় নির্বাচনের দিনেও বন্দরের সব বিভাগে কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক, শুধু মালামাল বা কনটেইনার সরবরাহ হয়নি ট্রাক ও কনটেইনার মুভার চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে। সরকবারি নিষেধাজ্ঞার কারণে আজও একই অবস্থা বলবৎ ছিল। তবে কাল থেকে পণ্য সরবরাহে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে জানা গেছে।
বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, নির্বাচনী বন্ধের কারণে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের ইয়ার্ডে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার কারণে গত দুইদিন পণ্য বা কনটেইনার ডেলিভারি না হলেও কাউকেই কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। কোনো ধরনের কনটেইনার জটেও পড়তে হয়নি আমাদের। ফলে এখানকার পরিবেশ স্বাভাবিকই রয়েছে। রবিবার সরকারি ছুটি থাকলেও বন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার