চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম ঐতিহ্যগতভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বপ্ন-সম্ভাবনার স্বর্ণদ্বার। এই দুয়ারের প্রবেশ পথ চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দর দিয়ে অর্জিত হয় দেশের ৮০ ভাগ অর্থনৈতিক আয়। চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত হলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ও প্রত্যাশার রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে। তাই দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনা লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকার বিজয় ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।’
আজ সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্র আয়োািজত ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রতিবেদন সম্বলিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত ১০টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উন্নয়ন কর্মকান্ডের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাগত বক্তব্যে আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য প্রকৌশল কমডোর খন্দকার আখতার হোসেন, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্ব) চট্টগ্রামের প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন (ডিআরএম), কেজিডিসিএল চট্টগ্রামের প্রকৌশলী অনুপম দত্ত, বিটিসিএল চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিএম প্রবাল কুমার শীল প্রমুখ। চট্টগ্রাম কর্নফূলী টানেল প্রকল্পের উন্নয় মূলক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল হাসান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, একটি মহা পরিকল্পনার আওতায় চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। পানি শোধনাগারসহ উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পথে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে নগরে আর পানির সমস্যা থাকবে না।’
চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদানের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অঞ্চলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অব্যাহত প্রয়াস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসারযোগ্য। বিদ্যুৎ ঘাটতি এখন অতীত বিষয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য প্রকৌশল কমডোর খন্দকার আখতার হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম অতীতের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংযোজনের ফলে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী রফিকুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকাঙ্কা প্রতিফলিত হয়েছে। চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। আরো কিছু বাস্তবায়নাধীন আছে। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম এখন অবহেলিত নয়। দেশের সকল উন্নয়নের মডেল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার