বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলছে। এসব কাজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা ও অবদান অপরিহার্য। তাই পদ্মা সেতুর মত মেগাপ্রজেক্ট তৈরির ক্ষেত্রে খরচ কমানোর পাশাপাশি নির্মাণকাজ টেকসই করতে চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করা দরকার।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের উদ্যেগো ‘পুরকৌশল খাতের অগ্রগতি’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে গেস্ট অব অনার ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যাম আচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রোটারি এবং পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আফতাবুর রহমান, বক্তব্য রাখেন জাপানের অধ্যাপক ড. তাকাশি মাতসুশিমা এবং থাইল্যান্ডের অধ্যাপক ড. পেনাং ওয়ারনিতেহাই। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বর্তমান অগ্রগতি বিষয়ে ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক অপু চন্দ্র দেবনাথ।
চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আমাদের দেশে কাজের সুযোগ ও পরিধি বাড়ছে। বহিঃর্বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের প্রকৌশলীরাও অবদান রাখছেন। পদ্মাসেতুর মত মেগা প্রজেক্টে সেই সক্ষমতাই প্রতিফলিত হয়েছে।’
এবারের কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের যন্ত্রকৌশল বিষয়ের অন্তত কয়েকশত শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রফেশনাল এবং উদ্যোক্তাগণ অংশগ্রহণ করছেন। এতে পুরকৌশল সম্পর্কিত ৬ টি বিষয়ে মোট ২৩টি সেশনে ১৮৭টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা, পানি নিস্কাশন, ভুমিকম্প, যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা, টেকসই নির্মাণ প্রকৌশলসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার