সিলেটের বিশ্বনাথে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির সরঞ্জামসহ ডাকাত সরদার শিপন হাজারীকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিপন বালাগঞ্জ উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মবশ্বির আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার উত্তর ধর্মদা গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ ও সিলেটের বিভিন্ন থানায় ২৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাকাত শিপন হাজারীর নেতৃত্বে একদল ডাকাত সোমবার বিশ্বনাথ উপজেলার সীমান্তবর্তী রশিদপুর এলাকায় প্রবেশ করেছে, এমন সংবাদদের ভিত্তিতে বিশ্বনাথ থানা, দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি বিশেষ টিম ওই এলাকায় অভিযান চালায়। মাইকে ঘোষণা দিয়ে সর্তক থাকতে বলা হয় জনসাধারণকে।
ডাকাতদল ডাকাতি করতে উত্তর ধর্মদা গ্রামে একটি করস্থানে আত্মগোপন করে। ভোর ৫টার দিকে ডাকাত দলের দুই সদস্য গ্রাম থেকে বের হয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে উঠতে চাইলে সেখানে টহলরত গোয়েন্দা পুলিশের দুইজন সদস্য তাদের আটকের চেষ্টা করেন। তখন তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় তাদের উদ্দেশে গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই ফারুক পিস্তল দিয়ে ৪ রাউন্ড গুলি করেন।
পরে আত্মগোপনে থাকা ডাকাত সরদার শিপন হাজারী ভেজা কাপড় পড়ে মঙ্গলবার বিকেলে কবরস্থান থেকে উত্তর ধর্মদা গ্রামের পাকা রাস্তায় বের হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুর মিয়ার রিকশায় উঠতে চায়। তখন তিনি শিপন হাজারীকে বলেন ‘তোর কাপড় ভিজা কেন, দেখেতো মনে হচ্ছে তুই ডাকাত’। একথা বলার সাথে সাথে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে শিপন।
একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এরপর শিপন হাজারীকে সাথে নিয়ে উত্তর ধর্মদা গ্রামের কবরস্থান অভিযান চালিয়ে ২টি পাইপগান, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, গ্রিল কাটার ১টি কাটার, ২টি টর্চ লাইট, তালা ভাঙার ২টি রড, ২টি প্লাস্টিকের পাইপ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা।
বিডি প্রতিদিনি/এমআই