সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে মানুষ ফের আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
শুক্রবার সিলেটে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সিলেট সদর উপজেলার শাহী ঈদগাহ মাঠে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এই মেলার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। এই সময়ে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আরেকটি নির্বাচন সামনে আছে। আমাদের কার্যক্রম বিবেচনা করে আপনারা ঠিক করবেন কাকে ক্ষমতায় বসাবেন। শেখ হাসিনার সরকার গত ১০ বছরে অসাধ্য সাধন করেছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে মানুষ ফের এই সরকারকে ক্ষমতায় আনবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি গত ১০ বছরে বিশ্বের শীর্ষ নেতা হয়েছেন। এর পেছনে একটি কারণ রয়েছে, সেটি হচ্ছে জনকল্যাণে তার নিবেদন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের এক-পঞ্চমাংশ মানুষ এখনও গরীব রয়েছে। তাদের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। আগামী দুই পঞ্চবার্ষিকীর জন্য যে পরিকল্পনা, তাতে দারিদ্রবিমোচনকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে জনকল্যাণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের বিষয়ে বলেন, মুখে বঙ্গবন্ধু আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের সাথে জোট, এটা বেমানান। আদর্শ আর লক্ষ্য ছাড়া কোন জোটই সফল হয় না।
পরে রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, তারা জোট করেছে, তবে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের মিল নেই। তারা মুখে যতো কথাই বলুক, নির্বাচন করা ছাড়া পথ নেই। নির্বাচন হবেই। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আমরা যারা সরকারে থাকবো, তারা রুটিন ওয়ার্ক করবো।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে দাবিগুলো দিয়েছে, তা সংবিধানসম্মত নয়। তাদের দাবিগুলো অযৌক্তিক।
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত ১০ বছরে তারা 'আন্দোলন', 'আন্দোলন' করেছে। কিন্তু দাঁড়াতেই পারেনি। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তারা জ্বালাও পোড়াও করেছে। আবার যদি এ কাজ করে, তবে ক্ষতিটা তাদেরই হবে।
বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান, পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা