ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামিং বিষয়ক দু’দিনব্যাপী ‘দ্বিতীয় কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ২০২২’ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ এবং বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিজেআইটি)-এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এবছরের হ্যাকাথন আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন মো. তারিক, কোড সামুরাই কমিটির সদস্য ইয়াসুহিরো আকাশি, বেসিস-এর সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ, মারুবেনি কর্পোরেশন বাংলাদেশ-এর ম্যানেজার হিকারি কাওয়াই এবং আইটি কোম্পানি অনপ্রুফ লিমিটেডের সিইও ইজুমি হিরাইয়ামা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও প্রযুক্তিখাতসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই অগ্রযাত্রায় জাপান এদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ উল্লেখ করে, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধাসমূহ কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি আয়োজন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যানজট ও করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষার্থীদের মেধা ও দক্ষতার প্রকাশ ঘটবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং একটি প্রযুক্তি নির্ভর, উন্নত ও কল্যাণকর সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এবং আইটি বিষয়ে অধ্যয়রনত শিক্ষার্থীদের ৫০টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল