একাত্তরের পরাজিত শক্তি তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এমনটাই বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আশা করব এই প্রজন্মের সবাই যেন ইতিহাস সচেতন হয়। কারণ বিভিন্নভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি। রাজাকার, আলবদর, আলসামস, তারা এই তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। দেখেছি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি কায়দায় দেশকে শাসন করার চেষ্টা করেছে। স্বাধীনতা বিরোধী যে অপশক্তি, বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজা প্রাপ্ত আসামীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের শাসন করার জন্য। যেটা আমাদের সকলের জন্য অপমানজনক ছিল। আমরা সেই সময় যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, আমাদের জন্য লজ্জার এবং দুঃখজনক ছিল।
শুক্রবার সকালবেলা মহান বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শিক্ষক সমিতি, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, জবি সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অন্যান্য সংগঠন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক প্রতিনিধি ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত 'বিজয় গর্বে দীপ্ত দেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশ' স্লোগানে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমেই সংগীত বিভাগের পর্যায়ক্রমে ১৫টি গানের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। গানগুলো হল মুক্তির মন্দির, এক সাগর রক্ত, গৌরী শৃঙ্গ, ও আমার বাংলা মা তোর, সুন্দর সুবর্ণ, একতারা তুই, তীর হারা, এক নদী রক্ত, আমার দেশের মাটি, এই বাংলা, পূর্ব দিগন্ত, যে মাটির বুকে, সেদিন আর কত দূরে, হায়রে, সোনা সোনা।
গানগুলো শেষে একটি নৃত্য পরিদর্শনের মধ্যে দিয়ে সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়াও আবৃত্তি সংসদ,সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ব্যান্ডদলের চমৎকার সব অংশগ্রহণে শেষ হয়েছে এবারের বিজয় উৎসব।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন