যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস-২০২২। বিজয়ের ৫১তম বর্ষপূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নানান কর্মসূচির আয়োজন করে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনসমূহে আলোক সজ্জিত করা হয়। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৫.৪৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এরপর উপাচার্য ভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত হয়ে সকাল ছয়টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেখানে পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক সমিতি, অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ও হলসমূহের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। একই সাথে শ্রদ্ধা নিবেদন টিএসসিভিত্তিক সংগঠনগুলোও।
এদিকে, সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসিতে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’-এর উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছায়ানট। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। আয়োজনে আটটি সম্মিলিত গান ও নৃত্য এবং একক পরিবেশনা উপস্থাপিত হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়েও শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ