‘নিরাপদ খাদ্য নগরীয় প্রতিবেশ, সকলে মিলে আগামীর বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে দিনব্যাপী ১ম নগরকৃষি মেলা-২০২২।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) প্রধান সম্মেলন কক্ষে (পুরাতন অডিটোরিয়াম) এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলার আয়োজন করছে নগরকৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে মেলা আয়োজক পর্ষদ।
মেলায় ৮টি শেয়ারিং গ্রুপ, ৭টি বাই-সেল গ্রুপ, ৫টি নার্সারি, বেশ কিছু উদ্যোক্তা, বাগানি, কৃষি গবেষক এবং শেকৃবির কৃষি ক্লাবসহ প্রায় ব্যক্তিপর্যায়ের ৪০টি স্টল মেলায় স্থান পাবে। মেলা চলাকালীন একই জায়গায় পরিচালিত হবে টেকনিক্যাল সেশন, যেখানে কৃষি গবেষকগণ তাদের পরামর্শ, দর্শণার্থীদের নগরকৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান দিবেন। মেলা সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলবে।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার শেকৃবি ফ্যাবল্যাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজক পর্ষদ। মেলার প্রধান উপদেষ্টা শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত এম সোলায়মান। এতে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
আয়োজক পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম হায়দার বলেন, ছাদ কৃষির সাথে সবাই পরিচিত হলেও নগর কৃষির ধারণা আমাদের অনেকের কাছে নতুন। মূলত ছাদ, বাড়ির আঙ্গিনা, বারান্দা এবং এর আশপাশে গড়ে তোলা বাগান নিয়েই নগর কৃষি। যেখানে বর্তমানে রাজধানীতে প্রতিটি বাড়িতে নগর কৃষির ছোঁয়া থাকা উচিত। সেখানে ঢাকায় শতকরা ৫ ভাগেরও কম বাড়িতে ছাদ বাগানের দেখা মেলে। তবে অনেকেই ছাদ বাদেও বারান্দা, বেলকনি কিংবা আঙ্গিনাায় কৃষিকে ব্যবহারের উদ্যোগ নিচ্ছে। তাই শুধু ছাদবাগানী নয় নগরকৃষির সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে সাথে নিয়েই নগর কৃষির আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশে প্রথম এ নগরকৃষি মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শেকৃবি প্রক্টর ড. মো. হারুন উর-রশিদ বলেন, দেশীয় নগরকৃষিতে ‘প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরি’ ধারণাটি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি- যেখানে একটি পরিবার তার বাড়িতে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় ফল, সবজিসহ গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয়তা মিটাতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন