মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতার নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হলেও অন্য দুইজন পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৩২৫ গ্রাম গাঁজাসহ তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। আটকের পর কৌশলে দুজন পালিয়ে গেলে সন্ধ্যায় প্রক্টর দপ্তর থেকে অন্য দুজনকে থানায় নেয় পুলিশ। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, মাদক মামলায় চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কৌশলে পলাতক ২ জনকে গ্রেফতারে চেষ্টা করছে পুলিশ।
আসামিরা হলেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ বিন সিদ্দিক, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু হলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান, ফোকলোর বিভাগে শিক্ষার্থী ও জিয়া হল ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও শের-ই-বাংলা হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ। এর মধ্যে সোহান ও রাজু টয়লেটে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষে দুপুরে টহলে নামে প্রক্টরিয়াল টিম। এ সময় শেখ রাসেল মাঠে বসে ওই ছাত্রলীগ নেতারা মাদক সেবন করছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ১২টি গাঁজার প্যাকেট পাওয়া যায়।
মাঠে বসে মাদক সেবনের বিষয়টি স্বীকার করলেও আটক ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেন, মাঠে বসার পর অপরিচিতি এক ব্যক্তি এসে তাদের পাশে গাঁজার প্যাকেট ফেলে যায়। তারা প্যাকেটটি হাতে নেওয়ার পর-পরই প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
সূত্র জানিয়েছে, বহিরাগতদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিয়মিত মাদক সেবনের অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা দিনে-রাতে ক্যাম্পাসের অপেক্ষাকৃত নির্জন জায়গায় বসে মাদকসেবন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসে মাদক সেবনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রশাসন এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত কঠোর নজরদারি করছে। আটকৃতদেরকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি যদি তারা ছাত্রলীগের কেউ হয়, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল