আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যে কয়জন নেতা দলের নেতাকর্মীদের আশা-ভরসার জায়গা ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান শীর্ষ সংগঠক ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের দশম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহলুল মজনুন চুন্নুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমত কাদির গামা, রাকসুর সাবেক জিএস খন্দকার জাহাঙ্গীর কবির রানা, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্য দেন সমাপনী বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাকের জ্যেষ্ঠ সন্তান ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত ছিল আওয়ামী লীগের দুঃসময়। এসময় নেতাকর্মীদের আস্থা, ভরসার জায়গায় ছিলেন গুটি কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্য আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন অন্যতম। জিয়া আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করেন। হাজার হাজার নেতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেন। এই সময় ১৯৭৮ সালে রাজ্জাক ভাইকেও গ্রেফতার করে দীর্ঘকাল জেলে আটকে রাখা হয়। এই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তার এগিয়ে চলা ও বেড়ে ওঠা।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ১৯৬৩ সাল থেকে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাকে আমি প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করি। তাই তাকে অন্য কেউ স্মরণ করুক আর না করুক, যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন তাকে স্মরণ করব।
সমাপনী বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাকের জ্যেষ্ঠ সন্তান ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, আমার বাবা আব্দুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে মানুষের জন্যে কাজ করে গিয়েছিলেন। তার আদর্শকে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম